গোলাপ মিয়া
রাজনীতিতে উত্থান পতন থাকলেও শেষ বলতে কিছু নেই। তাইতো বারবার প্রকাশ্যে চলে আসে নতুন মুখ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন আওয়ামী ঘরানার আরেক নতুন মুখ। তিনি হচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাপ মিয়া।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে তিনি সরকারদল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ লক্ষ্যে তিনি নিরবে নিভৃতে এলাকায় জনকল্যাণ মূলক নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। জেলা পর্যায়ে তেমন হাকডাক না থাকলেও সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় একজন সমাজসেবক ও তৃণমূল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জনগনের মধ্যে তাঁর পরিচিতি অনেক। এলাকা ভিত্তিক রাজনীতিতে ঈর্শনীয় পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। তৃণমূল আওয়ামী নেতাকর্মীরা তার উপর আস্তাভাজন বেশি। ক্রমেই তৃণমূল আওয়ামী নেতাকর্মীদের আস্তাভাজন হয়ে ওঠেছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনাকে পুঁজি করেই আগামামী নির্বাচনে সরকার দল আওয়ামী লীগে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন তিনি।
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপ মিয়া মিশে রয়েছেন সিলেট-৪ আসন এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে।
গোলাপ মিয়া বলেছেন, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার মানুষের প্রধান সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের অভাব। আর এ সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরী। আমি আমার এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে চলি। এটা আমার জন্মভূমি। আর অন্যরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। তারা এলাকার মানুষের মনের বেদনা বুঝতে পারেন না।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন গোলাপ মিয়া। তাই এবারের জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সাংবাদিকদের দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গোয়াইনঘাট উপজেলা ও জেলা শাখা পূর্নগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গোলাপ মিয়ার বাবা এম এ মালিক।
এভাবেই আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠা গোলাপ মিয়া দীর্ঘদিন লন্ডনে প্রবাসী জীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি বৃস্টল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া গোলাপ মিয়া সিলেট জেলার মদন মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
লন্ডন থেকে বাংলাদেশে চলে এসে ২০০৯ সাল থেকে তিনি ফের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোয়াইনঘাটন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসায়ীর যুক্তরাজ্যের বৃস্টলে রয়েছে চিলি ক্লেক ক্যাটারিং, ইয়াটন তন্দুরি ক্যাটারিং ও পশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট নামে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি সিলেটের ছালিয়া সালুটিকরে মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মদিনা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন, নবীগঞ্জে মেসার্স আউশকান্দি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ও ফেঞ্চুগঞ্জে মেসার্স সিলভেলি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন ব্যবসায়ও রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শতাধিক বাংলাদেশি কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করছেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় গোলাপ মিয়া এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে করোনা মহামারি ও বন্যার সময় অসহায় মানুষদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি এমএ মালিক জনকল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি, গোয়াইনঘাট উপজেলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আঙ্গারজুর আলিম মাদ্রাসার সভাপতি, গোয়াইনঘাট প্রবাসী ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা, সালুটিকর ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তোয়াকুল কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ও ডৌবাড়ী ঘোড়াইল কলেজের আজীবন দাতা সদস্য।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত এক যুগে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলের নেতা কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন গোলাপ মিয়া। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যথাযথ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
মানুষের সেবা করাই জীবনের একমাত্র ব্রত ও উদ্দেশ্য জানিয়ে গোলাপ মিয়া বলেন, দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন যে নির্দেশনা দিবেন, সেই নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাবো। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত নিপিড়িত গরীব-দুঃখী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই আমার প্রধান উদ্দেশ্য।
সিলেট-৪ আসন এলাকার তৃণমূল নেতার্মীদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, বেশি মেয়াদে থাকার পরও মন্ত্রী এলাকার কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। তাই এবার পরিবর্তন চাই। দার্ঘদিন ধরে পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় মন্ত্রীর উপর থেকে আস্তা হারিয়ে গেছে সাধারণ মানুষের।
A/B