
ছবি : প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে অপহরণের একমাস পর ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে ধানের গোলার ভেতর থেকে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৫সেপ্টেম্বর) রাত তিনটার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হরিশ্বরণ গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন, ছাতক উপজেলার হরিশ্বরণ গ্রামের আব্দুল সালামের অউত্র জুনেদ (২৫), আব্দুল কাদিরের পুত্র মো. জিয়াউর রহমান (২২), মৃত মদরিছ আলীর পুত্র মো. আব্দুল সালাম (৫২), আব্দুল সালামের মেয়ে মোছা. খাদিজা বেগম (১৮), অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী শান্তিগঞ্জ উপজেলার আসামপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র বিলাল মিয়া (৪২), মো. বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী বেগম (৪৮)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামের মো. আব্দুল গফুরের ছেলে ফাইজুর রহমানকে ডাউকা নদীর পাড় হতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গত ২৫ আগস্ট দুপুরে অপরহণ করে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।
অপহরণকারীরা নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে যোগাযোগ মাধ্যম ইমো নাম্বার ব্যবহার করে সেই ভিডিও ফাইজুরের আত্মীয়দের ইমুতে পাঠিয়ে দেয় এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপন দারি করে। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় এসআই কাজল চন্দ্র দেব, এসআই মোহন রায়, এএসআই রুবেল আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স এর একটি চৌকস টিম ছদ্মবেশে অপহরণকারীদেরকে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণকারী দলের সাথে যোগাযোগ করে।
অপহরনকারীরা ছাতক থানার একটি নির্জন হাওরে মাটির রাস্তায় একটি কালভার্ট পার্শ্বে ধান ক্ষেতের আইলের মধ্যে তাদের দাবিকৃত টাকা রাখার জন্য বলে। পুলিশ তাদের কথামতো সন্ধ্যা ৬টায় টাকা রেখে ফাঁদ পেতে ধান ক্ষেতের আইলের চার পাশে ওৎপেতে শুয়ে থাকে। এরপর রাত সাড়ে ৮টায় অপহরণকারী দলের জুনেদ টাকা নিতে গেলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতভর অভিযান চালিয়ে আটককৃত জুনেদের ঘরের দ্বিতীয় তলার ধানের গোলায় শিশুটিকে শিকল দ্বারা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মধ্যদিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
SH
