অবশেষে কানাডাগামী সিলেটি যাত্রীদের আটকানোর কারণ জানালো বিমান
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪

অবশেষে কানাডাগামী সিলেটি যাত্রীদের আটকানোর কারণ জানালো বিমান

জুনেদ আহমদ

প্রকাশিত: ২০২৩-১১-১৪ ০৫:০৯:০৪

অবশেষে কানাডাগামী সিলেটি যাত্রীদের আটকানোর কারণ জানালো বিমান


অবশেষে কানাডাগামী সিলেটের ৪৫ যাত্রীকে আটকে দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট বিজি-৬০৬ যোগে সিলেট থেকে ৭৪ যাত্রী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী ছিলেন বিমানের টরন্টো ফ্লাইটের (বিজি-৩০৫/৭নভেম্বর, ২০২৩)।  

বিমানের সিলেট স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যাত্রীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান, ৪৫ যাত্রী একই ব্যক্তির আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে কানাডা যাচ্ছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে সন্দেহ হয়। এতে সিলেট স্টেশন থেকে ডকুমেন্টস ঢাকার পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটে (পিসিইউ) পাঠানো হয়। পিসিইউ ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিল্লিতে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির (সিবিএসএ) কাছে পাঠালে প্রথম তারা জানায় তাদের সিস্টেমে যাত্রীর তালিকায় তথ্য সঠিক রয়েছে। ফলে সিলেট থেকে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয় এবং যাত্রীর ঢাকায় পৌঁছান।  

এরইমধ্যে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি থেকে আবার জানানো হয় যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রের তথ্যের সঙ্গে থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের কাছে রেন্টেড হাউজের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়।  

কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী একটি রেন্টেড হাউজে ৪৫ জন যাত্রী থাকার কোনো নিয়ম নেই এবং তা ফায়ার কোড ভায়োলেশন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। যাত্রীদের ডকুমেন্টস এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ৪৫ যাত্রীকে ৭ নভেম্বর টরন্টো ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়।  

ঢাকার পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) এ যাত্রীদের তথ্যাদি সিবিএসএর কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সিবিএসএ জানিয়েছে, এ যাত্রীদের ভিসা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ইমেইলে সিদ্ধান্ত জানাবে।

যাত্রীদেরকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে তারা হোটেলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। টরন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরে ইমিগ্রেশন থেকে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং যাত্রীরা নিজেদের মতো এয়ারপোর্ট ছাড়েন। যাত্রীদের রাতের খাবার ও সকালের নাস্তা সরবরাহ করা হয়।  

কোনো যাত্রীর কাছে যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকলে বা এ ধরনের ভায়োলেশনের জন্য কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ যাত্রীপ্রতি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে ৩ হাজার ২০০ থেকে ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারে।

এর আগে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই যাত্রীরা আমন্ত্রণপত্র এনে ভিসার আবেদন করেন। কানাডা তাদের ভিসাও দেয়। নিয়ম মেনেই রিটার্ন টিকিট কেটে নির্ধারিত দিনে সিলেট এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন শেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তারা।  

ঢাকা থেকে কানেকটিং ফ্লাইটে তাদের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরে আসার পর তাদেরকে আবার বোর্ডিং পাস দেয়ার সময় পাস না দিয়ে বিমানের কর্মকর্তারা তাদেরকে আটকে দেন। এ ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়।

JA



This is the free demo result. For a full version of this website, please go to Website Downloader