বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৪১ রান
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬

বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৪১ রান

জৈন্তা বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০২৩-১১-১৯ ০৭:১৮:২৪

বিশ্বকাপ জিততে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৪১ রান

ছবি: সংগৃহীত


পুরো বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন ভারতের টপ অর্ডার। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে খুব একটা পরীক্ষা দিতেই হয়নি ভারতের মিডল অর্ডারকে। কিন্তু ফাইনালে এসেই যেন হোঁচট খেতে হলো টিম ইন্ডিয়াকে। প্রায় দেড় লাখ দর্শককে চুপ করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন প্যাট কামিন্স। সেটায় কিছুটা হলেও সফল হয়েছেন অজি বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বাগতিকদের তারা আটকে দিয়েছে ২৪০ রানেই।

রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জিততে তাই অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য ২৪১ রান। আহমেদাবাদের এই পিচে ফ্লাডলাইটের আলোতে ভারতের বোলারদের এখন কঠিন এক পরীক্ষাতেই নামতে হবে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাদেজার হাত ধরে ভারত কি তাদের তৃতীয় শিরোপা পাবে, নাকি অজিরা উদ্ধার করবে তাদের হারানো গৌরব সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

আহমেদাবাদে ফাইনালে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে ব্যাপক। এমনকি নিজেদের প্রথম ১০ ওভারে খুব একটা সুবিধাও করতে পারেননি মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজেলউডরা। শুভমান গিল দলীয় ৩০ রানে ফিরে গেলেও রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। 

তবে এরপরেই যেন লাগাম টেনে ধরেছে অজি বোলাররা। ব্রেকথ্রুর আশায় অষ্টম ওভারে প্রথমবারের স্পিন আক্রমণে আনেন প্যাট কামিন্স। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও পাত্তা দিচ্ছিলেন না রোহিত। ওভারের দ্বিতীয় বলেই লং অনের ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। পরের বলে চার। তবে মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলেন না আর। ক্যাচ উঠেছিল কাভারে। পেছন দিকে ছুটে ট্রাভিস হেড নিয়েছেন দুর্দান্ত ক্যাচ। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায় কি না। রোহিত থামলেন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। 

রোহিতের পর উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক শুরুর চেষ্টা করেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনিও। কামিন্সের বল ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে।

পুরো ম্যাচে ভারত এদিন ভুগেছে বাউন্ডারির অভাবে। বল সীমানাছাড়া করতে যেন হাপিত্যেশ করেছেন কোহলিরা। রোহিত-আইয়ার ফিরে যাওয়ার পর ১৫ ওভারের বেশি বাউন্ডারি পায়নি ভারত। কোহলি আর রাহুল ইনিংস মেরামত করেছেন ঠিকই। তবে তাতে রানরেট কমেছে অনেকটাই।  

অবশ্য এরইমাঝে টানা ৫ম ফিফটি তুলে নিয়েছেন কোহলি। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফাইনালে এসেও ফিফটির দেখা পেলেন। ৫৬ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এটি তার টানা পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। সবমিলিয়ে আসরে ১০ ম্যাচের ৮টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি।

তবে ফিফটির পরেই ফিরতে হয়েছে কোহলিকে। কামিন্সের লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে ইনসাইড এজে ফিরে যান তিনি। এরপর জাদেজা এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও ভারতকে বড় কিছু এনে দিতে পারেননি। ৩৬তম ওভারের পঞ্চম বলে হ্যাজলউডের খাটো লেন্থের ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৯ রান।

কিন্তু এরইমাঝে শুরু হয়েছে ভারতের দ্বিতীয় দফার বাউন্ডারি খরা। ইনিংসের ৩০তম ওভারে বাউন্ডারির পর যেন বল আর সীমানা পার হতেই চাইছিল না। সিঙ্গেলস আর ডাবলই হয়ে যায় রাহুল-সূর্যকুমার যাদবের ভরসা। ধীরগতিতে ব্যাট চালিয়ে রাহুল ফিফটি তুলেছেন ৮৫ রানে। 

এরপরের গল্পটা মোটামুটি হতাশার। ভারতের ইনিংসে বড় রান আর আসেনি। রাহুলের প্রস্থানের পর ভারতের আর কেউ বড় কিছু করতে পারেননি। ইনিংসের শেষ ওভারে এসে সিরাজের চার বাউন্ডারি খরা পার করতে সাহায্য করেছে। মাঝে অবশ্য শামি, সূর্যকুমাররা ব্যর্থতার গল্পটাই কেবল ভারি করেছেন। ভারত অলআউট হয়েছে ঠিক ঠিক ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে। রানআউটে ফিরেছেন কুলদীপ। ভারতের স্কোর তখন আড়াইশও পেরোয়নি!  

এম সি



This is the free demo result. For a full version of this website, please go to Website Downloader