শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমছে না পোশাক বেচা-কেনা
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৯

শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমছে না পোশাক বেচা-কেনা

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১/১২/২০২৩ ০৬:৪৬:৩১

শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমছে না পোশাক বেচা-কেনা

শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমছে না পোশাক বেচাকেনা। ছবি: জৈন্তা বার্তা


গোয়াইনঘাটে শীতের আমেজ অনুভূত হলেও জমে ওঠেনি পোশাক বেচাকেনা। সকাল-সন্ধ্যা হিমেল হাওয়া গায়ে লাগলেও ক্রেতারা তেমনটা পোশাক কিনছেন না বলে দাবি বিক্রেতাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার স্থানীয় সালুটিকর বাজারের দোকানগুলোতে শীত পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে বেচাকেনা তেমনটা হচ্ছে না। বিক্রি জমজমাট হবার প্রত্যাশায় হাল ফ্যাশনের শীতবস্ত্রের সমাহার ঘটিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


বিক্রেতারা বলছেন, শীত শুরুতে গরম কাপড় কেনার প্রবণতা এবার কম। তাই চাহিদা নেই বললেই চলে। ঘুরতে এসেও কেউ কেউ কিনছেন ছোটদের শীত কাপড়। সাধারণত শীতের কাপড় বিক্রির বাজার জমে ওঠে নভেম্বর মাসে। তবে এবার এখনও ব্যবসা জমেনি।শীত পড়ার আশায় ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের গরম কাপড়ের ব্যবসা মূলত হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে।

শীত বাড়েনি বলে, গরম কাপড়ের বিক্রিও বাড়েনি। এছাড়া বিক্রি কম হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

কেন বিক্রি কম জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আনা মিয়া বলেন, শীতের সিজনে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৮-১০ হাজার টাকা। সারাদিনে এখন বিক্রি হয় ২-৩ হাজার টাকা। আবার সব দিন একরকম বিক্রিও হয় না। হরতাল-অবরোধের কারণেও বেচাকেনা অনেক কম।

তুহিন বস্ত্র বিতানের প্রোপাইটর জয়নাল আবেদীন বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে এই এলাকায় মানুষ ঘুরতে এলে এসব পোশাক কিনে নেন। কিন্তু হরতাল- অবরোধ কারণে মানুষ তেমন আসছে না। এ কারণে আমাদের বিক্রিও বাড়ছে না। পাড়া-মোল্লার মানুষ কতই আর কেনাকাটা করবে। আমাদের পণ্য বিক্রির বেশিরভাগ ক্রেতা দূর দূরান্তের মানুষরাই।তিনি জানান স্থানীয়ভাবে যেসব ক্রেতারা আসছে তারা ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য কিছু কাপড় ক্রয় করে চলে যাচ্ছে কেউ আবার দামা দরিতেই সীমাবদ্ধ। তারা প্রত্যাশা করছেন শীত বড়ার সাথে সাথে তাদের ব্যবসা বাড়বে।

জৈন্তাবার্তা/জেএ