মাধবপুরে উপজেলা প্রকৌশলী উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারদের বললেন ‘গেট আউট’
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪০

মাধবপুরে উপজেলা প্রকৌশলী উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারদের বললেন ‘গেট আউট’

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩/০৩/২০২৪ ১০:১৮:০২

মাধবপুরে উপজেলা প্রকৌশলী উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারদের বললেন ‘গেট আউট’

মাধবপুরে উপজেলা প্রকৌশলী উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারদের বললেন ‘গেট আউট’।


হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন উপজেলার ঠিকাদারদের প্রকৌশলীর অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বললেন এবং উত্তেজিত অবস্থায় মারমুখী হয়ে বললেন'গেট আউট'। এমনই একটি ভিডিও চিত্র গণমাধ্যম কর্মীর কাছে এসেছে। 

পরে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়,গত ৩১ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ১১টি প্যাকেজের জন্য ঠিকাদার নির্বাচনের লক্ষ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হতে ইজিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে। পরে ঠিকাদারগন দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য উল্লেখিত প্যাকেজ অনুযায়ী পে-অর্ডার জমা দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ করে যার অনলাইনে লটারি হয় গত ৬ মার্চ। লটারির পর নির্বাচিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পে-অর্ডার ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃজাকির হোসেন তা দিতে গড়িমসি করেন ও বিভিন্ন অজুহাত দেখান। ঠিকাদারগণ পে-অর্ডার ফেরত চাইতে গেলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। 

উপজেলার পুরনো ঠিকাদার বুলবুল খাঁন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, টেন্ডার হয়ে গেছে আজ প্রায় ৮ দিন হয়ে গেল কিন্তু আমরা যারা দরপত্রে নির্বাচিত হয়নি তারা এখনো পে-অর্ডারগুলো ফেরত পায়নি।উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে বার বার গেলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান। আজ (বুধবার) উনার কাছে পে-অর্ডার চাইতে গেলে তিনি আমাদের গালাগালি করেন,আমাদেরকে ধমকের সুরে চুপ থাকতে বলেন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির সময় আমাদের কে তেড়ে এসে বলেন 'গেট আউট'। আমি প্রায় ২৪ বছর ধরে মাধবপুর উপজেলাতে ঠিকাদারি করি আজ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়নি এতোটা অপমানিত হয়নি। শোরগোল শুনে আশেপাশের মানুষ আসলে তিনি তাদের সাথেও খারাপ আচরন করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃজাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নিয়ম অনুযায়ী আমি তাদেরকে পে-অর্ডার দিতে পারি না। কারন তারা পারফরম্যান্স মানি জমা দেয়নি। ইভোলিউশন না হওয়া পর্যন্ত ও হায়ার অথোরিটির এপ্রোভ ছাড়া আমি দিতে পারি না। সবচেয়ে বড় কথা আমি এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না এই বিষয়টি উপজেলার আগের সার্বেয়ার রানা দেখতেন আর বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী মোঃআনোয়ার সাহেব দেখেন। তিনি আরও এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারের দায়িত্ব আমার বেশি।

জৈন্তাবার্তা/জেএ