ছবি: নিজস্ব
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ধান শুকনোর খলা নিয়ে সংঘর্ষে গুরুতর আহত রোকন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় রাজ্জাক মিয়া ও তাঁর স্বজনদের একাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোকন মিয়ার মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌছুলে রোকন মিয়ার দলের লোকজন উপজেলার স্বজনগ্রমের রাজ্জাক মিয়া ও তাঁর স্বজনদের বাড়িতে হামলা ও লুটতরাজ চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরে রক্ষিত সমুদয় মালামাল লুটে নেয় এবং ৭/৮ টি ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে ও ঘরগুলোর ব্যপক ক্ষতিসাধন করে।এমনকি এ ঘরবাড়িতে বসবাসকারী পুরুষশুন্য বাড়ির মহিলাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এতে বাকীগুলোর মহিলারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ীতে কোন লোকজন নেই। এ সময় থানা পুলিশের উপস্থিতিতে এক ক্ষতিগ্রস্থ নারী নুরুজ মিয়ার স্ত্রী গুলশান বেগম জানান আমাদের ও আমার ভাসুর,দেবরের ৭/৮ টি ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটে নিয়ে গেছে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন।তাদের আক্রমণ এর ভয়ে আমরা অন্য বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি।
এ নারী আরোও জানান আম্বর আলীর পুত্র রাজ্জাক মিয়া, রাজ্জাক মিয়ার পুত্র বিলাল মিয়া, রাজ্জাক মিয়ার পুত্র কাসেম মিয়া,রাজ্জাক মিয়ার পুত্র আবু কালাম মিয়া,আলামিন মিয়া,আম্বর আলীর পুত্র সাদির মিয়ার, আম্বর আলীর পুত্র সিজান মিয়া,রহিম মিয়া,বেলু মিয়ার পুত্র মফিজ মিয়ার ঘরগুলো হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এ বিষয়ে মৃত রোকন মিয়ার কন্যা শেফালী বেগম এর সাথে আলাপকালে জানান রাজ্জাক মিয়ার লোকজন নিজেরাই তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে লুটতরাজ এর ঘটনা প্রচার করছে।
এ বিষয়ে স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক ( এস,আই) ভজন দাস এর সাথে আলাপকালে হামলা ও ভাংচুর এর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন একদিন কমবেশি ভাংচুর এর ঘটনা ঘটেছিল।এরপরে আর হয়নি।
উল্লেখ্য, বিগত ৩১ মার্চ ধান শুকানোর খলা নিয়ে উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের লাখাই স্বজন গ্রামের রুকন মিয়ার লোকজন এর সাথে একই গ্রামের রাজ্জাক মিয়া দলের সংঘর্ষে রোকন মিয়া গুরুতর আহত হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল মৃত্যু বরন করেন।
এস এইচ টি/