গোয়াইনঘাটে ঝড়ে উড়ে গেছে মাদ্রাসার টিনের চাল : বিপাকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৫

গোয়াইনঘাটে ঝড়ে উড়ে গেছে মাদ্রাসার টিনের চাল : বিপাকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০২৪ ১০:০৬:৫৬

গোয়াইনঘাটে ঝড়ে উড়ে গেছে মাদ্রাসার টিনের চাল : বিপাকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী

ছবি: নিজস্ব


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নবগঠিত ১৩ নং বিছনাকান্দি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জামেয়া মাহমুদিয়া খালপার মাদ্রাসার টিনসেড ঘরের চাল গত শনিবার রাতে ঝড়ে উড়ে গিয়ে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে চারিদিকে টিনের বেড়া,আসবাবপত্র দরজা জানালাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

এতে বিপাকে পড়েছেন তিনশতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।এক সপ্তাহ ধরে পাঠদান হচ্ছে ব্যাহত, মাদ্রাসার বদলে মসজিদে চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।

এলাকাবাসী জানান, আশপাশে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় খালপার গ্রামের ছোট ছোট শিশুকে যেতে হতো অনেক দূরের স্কুলে। এ জন্যই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ২০০১৮ সালে গড়ে তুলেন দ্বীনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক সহ ৩ শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।

এলাকার বিত্তবান ও হতদরিদ্র মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে থাকে।মাদ্রাসার নিজস্ব কোন তহবিল না থাকায় বর্তমানে মাদ্রাসার ঘর সংস্কারও তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা।

যেখানে শিক্ষকরা নামমাত্র সম্মানিতে শিক্ষকতা করেন।তাও আবার প্রতিমাসে সময়মতো সম্মানি পরিশোধ করা যায় না।সেখানে আকস্মিক এই ক্ষতিতে পড়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে সকলের।

এলাকাবাসী ও কর্মরত শিক্ষকরা স্হানীয় প্রশাসন, সমাজের বিত্তবান মানুষের ও প্রবাসী সংগঠনের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেন।

মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা বিলাল আহমদ বলেন,প্রতিষ্ঠালোগ্ন থেকে মাদ্রাসাটি সুনামের সহিত দ্বীনী শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মেধার মাধ্যমে ভালো ফলাফলে সুনাম অর্জন করে আসছে।এই মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা সিলেট সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় অধ্যানরত রয়েছে।

তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলো মূলত এলাকার সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় ও সমাজের বিত্তবান মানুষের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হয়।এইসব মাদ্রাসার নিজস্ব কোন তহবিল থাকেনা।তাই সব সময় অর্থ সংকটে থাকতে হয়।বর্তমানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

কতদিনে মাদ্রাসা সংস্কার হবে। মাদ্রাসায় বর্তমানে ভর্তির চলছে।শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অসুবিদা হচ্ছে।এদিকে কত দিন পরে আবার শিক্ষার্থীদের মিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া যাবে তাও বলা যাচ্ছে না। তিনি সমাজের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের প্রতি সহযোগিতার উদাত্ত আহ্বান জানান।

এস এইচ টি/