ছিনতাইকৃত ৩টি গরু, ১টি ডিআই পিকআপ গাড়ী উদ্ধার ও ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ জুন) রাতে কোম্পানিগঞ্জ থেকে গরু নিয়া আসা একটি ট্রাককে আটক করার চেষ্টা করে কতিপয় ছিনতাইকারী।
এসময় জনতায় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে। আটককৃত তোফাজ্জল হোসেন (২১) পশ্চিম পীর মহল্লার সেলিম মিয়ার ছেলে। যারা পালিয়ে গেছে তাদের একজন হলো নুর ইসলাম (২৪)। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়। পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জের দিক নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে আরেক আসামী মোঃ উমর ফারুক সফি (২০), পশ্চিম পীর মহল্লা আহমুদুর রহমান খোকন এর ছেলেকেও আটক করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
গরুর মালিক জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন টুকেরবাজার এলাকা থেকে ৩টি গরু কিনে আমার রাখাল জাহাঙ্গীর আলম ও গাড়ির ড্রাইভার সোলেমান সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে এয়ারপোর্ট থানাধীন সিলেট ক্যাডেট কলেজের সামনে পৌছাইলে মোটরসাইকেল যোগে ছিনতাইকারী তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ইশারা করিয়া পিকআপ গাড়ীটি থামানোর জন্য বলে। কিন্তু গাড়ীর চালক সোলেমান গাড়ীটি না থামাইয়া সিলেট শহরের দিকে যাইতে থাকে। এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা বাজার সংলগ্ন ট্রাক স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্রই ছিনতাইকারীরা গাড়ীটি চারদিক থেকে ঘিরে ফললে গাড়ী চালক সোলেমান গাড়ী থামানো মাত্রই ছিনতাইকারীরা ভয়ভীতি সৃষ্টি করিয়া গাড়ীতে থাকা বর্ণিত ০৩টি ষাড় ও গরু ছিনাইয়া নিয়া যায়।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে অআমি খবর পেয়ে ডিউটিতে নিয়োজিত অফিসার এসআই আসলম আহমদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া ১নং আসামীর হেফাজত হইতে উল্লেখিত ০৩টি ষাড় গরু উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আমার দিক নির্দেশনায় এসআই আসলম আহমদ ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করিয়া অত্র এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগান এলাকা হইতে অপর আসামীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এলএইচ