ছাতকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৩২

ছাতকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সাকির আমিন, ছাতক প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭/০৬/২০২৪ ০৮:১২:১৮

ছাতকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় কিছু দিনের  ব্যবধানে ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো ছাতকের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সুরমা, চেলা ও পিয়ান নদীর পানি। বর্তমানে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। 

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সহ এর আশপাশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। ধনীটিলা-ছনবাড়ী বাজার সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে  বন্যার পানি। পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে এ সড়কের বিভিন্ন অংশ। 

ইউনিয়নের নিজগাঁও রতনপুর,ছনবাড়ী, নোয়াকোট, রহমতপুর,বনগাঁও,দারোগাখালী, বৈশাকান্দি,সৈদাবাদ, বাহাদুরপুর সহ ১০-১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ধানের বীজতলা ও শাক সবজীর বাগান ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ছাতক উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত  চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম কিরন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না সহ প্রশাসনের লোকজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদী পানি বিপদ সীমার ৭৮ সেন্টেমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ, ছাতক-জাউয়া, ছাতক- দোয়ারা ও ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়ক সহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

কিছু- কিছু সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলার কালারুকা,নোয়ারাই,উত্তর খুরমা,জাউয়া, চরমহল্লা,ভাতগাও,সিংচাপইড়,ছৈলা আফজলাবাদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও,দোলারবাজার,দক্ষিণ খুরমা, ছাতক সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পৌর  শহরের তাতিকোনা, বৌলা,চরের বন্দ,মোগলপাড়া,মন্ডলী ভোগ,বাগবাড়ী, বাঁশ খলা সহ কয়েকটি মহল্লায়  বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন তিনি । আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়েছে।

জৈন্তাবার্তা/সাকির/এলএইচ