বর্জ্য পরিষ্কারে সিসিকের ১৬’শ কর্মী, তদারকিতে মেয়র!
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:০২

বর্জ্য পরিষ্কারে সিসিকের ১৬’শ কর্মী, তদারকিতে মেয়র!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭/০৬/২০২৪ ১১:৫৩:৩৩

বর্জ্য পরিষ্কারে সিসিকের ১৬’শ কর্মী, তদারকিতে মেয়র!

ছবি: সংগৃহীত


প্রতি বছর দুটি ঈদ নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এর মধ্যে ঈদুল আযহায় যুক্ত হয় ভিন্ন মাত্রা। সেটি পশু কুরবানির জন্য। কারণ- প্রবৃত্তির দাসত্ব, লোভ-লালসা ও হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুত্বকে পরাভূত হয় এই কুরবানির মধ্যদিয়ে। দিনে উপলক্ষ্যে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সাধ্যমত কুরবানি দিয়েছেন। সেই কুরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ঈদের দিন সকাল থেকে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের ১৬’শ কর্মী। ইতোমধ্যে মহানগর এলাকার পশুর হাটসহ প্রায় ৯০ ভাগ বর্জ্য পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর ।তিনি জানান, ঈদুল আযহার জামাত শেষে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং তাদের সঙ্গে সকালের নাশতা করেন। পরে সিসিকের ১৬’শ কর্মীকে নামানো হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য প্রথমে মহানগরের নালাগুলো পরিচ্ছন্ন করেন কর্মীরা। পরে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ভাগ করে দেওয়া হয় তাদের। পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিজেই তদারকি করছেন সিসিক মেয়র।

এদিকে, বিকালের মধ্যেই কুরবানির পশুর বর্জ্য প্রায় ৮০ ভাগ পরিচ্ছন্ন করে ফেলেছেন সিসিক কর্মীরা। তবে অনেকের বাসাবাড়িতে পানি উঠে পড়ায় তারা সোমবার পশু জবাই করতে পারেননি। তারা আগামীকাল (মঙ্গলবার) অথবা পরশু (বুধবার) কুরবানি করবেন। তাই আগামী দুদিনও সিসিকের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানিয়েছেন, নগরের আজকের কুরবানির পশুর বর্জ্য রাত ৯টার মধ্যেই পুরোপুরি পরিচ্ছন্ন করা হবে। মেয়র মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন- মহানগরবাসীর কুরবানি দেওয়া-সাপেক্ষে আরও দুই অথবা একদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। বর্জ্য সিসিকের গাড়িতে করে সরাসরি ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।

সিসিক সূত্র আরও জানায়, সকালে মহানগরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হলেও দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে পানি। ভারী বৃষ্টি না দিলে রাতে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। ফলে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পরিচ্ছনতা অভিযান চালানো আরও সহজ হবে। যেকোনো প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার