
ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের ওসমানীনগরে ডুবা থেকে ফারুক মিয়া (৬৫) নামের এক সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউপির মাধবপুর গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ির পাশের ডুবা থেকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ফারুক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে হয়।
নিহত ফারুক মিয়া উপজেলার উছমানপুর ইউপির মাধবপুর গ্রামের মৃত আছাব মিয়ার ছেলে ও মাদারবাজার এফইউ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং মাদারবাজার শাপলা ফার্মেসীর স্বত্ত্বাধীকারী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার এশার নামাজের পর মাদারবাজার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শাপলা ফার্মেসী থেকে বাড়ি ফেরার পর নিখোঁজ হন ৪ কন্যা সন্তানের জনক ফারুক মিয়া। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করে তার সন্ধান পাননি স্বজনরা। রাতে নজি বাড়ির প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে একই গ্রামের আজিম মিয়ার বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে ডুবায় ফারুক মিয়ার লাশ উপুর হয়ে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ফারুক মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নিহত ফারুক মিয়ার নাক মুখ চোখ ও কান দিয়ে রক্ত পরছিলো এবং দুচোখের পাতার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বাদ আছর নিজ গ্রাম মাধবপুরে নামাজে জানাজা শেষে নিহত ফারুক মিয়ার লাশ তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত ফারুক মিয়ার খালাতো ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোটারিয়ান কাজী হেলাল বলেন, আমার খালাতো ভাই ফারুক মিয়ার তেমন শত্রু আছে বলে জানা নেই। তার কোনো ছেলে সন্তান নেই চার মেয়ে আছে তারা স্বামীর সাথে প্রবাসে বসবাস করে। দোকান থেকে নিজের বাড়ির রাস্তকায় না এসে অন্যের বাড়ির পাশে লাশ পাওয়া রাতে গ্রামের একজনের মোবাইলে ফারুক মিয়াকে শেষ করে দিয়েছি বলে বার্তায় আসায় সন্দেহ হচ্ছে তাকে কেউ হয়তো হত্যা করেছে। তবে পুলিশের তদন্ত ও লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে।
ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস সাবেক শিক্ষকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি হত্যা না অন্য কিছু ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। লাশের নাক মুখ চোখ ও কান দিয়ে রক্ত পরছিলো এবং দুচোখের পাতার উপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার
