ছবি : নিজস্ব
জৈন্তাপুর উপজেলায় ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সীমান্তবর্তী জনপদ শ্রীপুর চা বাগান মোকামপুন্জি এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে। এ রকম একটি ছবি ও লাইভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হলে স্হানীয়দের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার ( ৩১শে আগষ্ট) সকালে শ্রীপুর এলাকার স্হানীয় বাসিন্দা সাবেক বৃহত্তর জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আনোয়ার আলির ছেলে ব্যবসায়ী ইমাম উদ্দিন সকালে তার বাড়ীর সামনে চা বাগান সংলগ্ন রাস্তায় এই পায়ের ছাপ দেখতে পায়।
এ সময় ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে স্হানীয়রা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। এ সময় ফারুখ হোসেন নামে একজন কুকুরের পায়ের ছাপ হতে পারে বলে কমেন্ট করলে তার প্রতিত্তোরে ইমাম উদ্দিন বলেন পায়ের ছাপ অনেক বড় তাই কুকুরের পায়ের ছাপ এটি নয়।আহমদ এসএ নামে জনৈক ব্যাক্তি কমেন্ট করেন তিনি বিগত কয়েকদিন পূর্বে পাশ্ববর্তী সৌদিয়া ক্রাশার মিলের পাশে বাঘ দেখেছেন বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে পোস্টদাতা ইমাম উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই এলাকা পাহাড় টিলা বেষ্টিত এবং সামনে বিশাল চা বাগান রয়েছে। তিনি বলেন চা বাগানের পাহারাদার লক্ষণ বাবু জানায়, কয়েকদিন যাবৎ চা বাগানের ভিতরে অবস্হিত একটি ছোট পুকুরের পাশে গর্তে দুইটি বাচ্চা সহ একটি মা মেছোবাঘের দেখা মিলছে।
ইমাম উদ্দিন আরো জানান এই এলাকায় খেক শিয়াল, মেছোবাঘ, গেছোবাঘ, বাঘডাসের আনাগোনা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু শনিবার সকালে যে পায়ের ছাপ দেখা গেছে তার দৈর্ঘ্য তিন থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চির মত লম্বা। যা বড় কোন প্রানীর ক্ষেত্রেই হতে পারে।
তিনি আরো বলেন আশাপাশের চা শ্রমিকদের বাড়ী ও বিপরীত দিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাসিয়া পুন্জি এলাকায় বসবাসরত মানুষের বাড়ীঘর গুলো খুবই কাছাকাছি হওয়ায় রাতের বেলা সেখানে সব সময় মানুষের চলাচল স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু গত কয়েকদিন পূর্বে শ্রীপুর সুপারী বাগান এর সন্নিকটে একটি ঝর্ণার নিচে মরা গরু নাড়ীভূরি বের করা অবস্থায় দেখতে পায় স্হানীয়রা। তবে সেই গরুর মালিকের কোন সন্ধান মিলে নি।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এই জায়গাটিতে বিড়াল গোত্রীয় ছোট ছোট প্রানী মেছোবাঘ, বাগডাস থাকা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বড় পায়ের ছাপ নিশ্চিত হওয়ায় আপাতত স্হানীয়দের একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন এই সমস্ত প্রানী সুস্থ অবস্থায় তাদের কোন বিরক্ত না করলে এরা মানুষের কোন ক্ষতি বা আক্রমণ করে না। তাই অহেতুক তাদের ও তাদের বাসস্হানে কোন ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলাই ভালো। এরপরও যদি স্হানীয় মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখি কোন আক্রমণের শিকার হয় তাহলে বনবিভাগের সহায়তা নিতে তিনি অনুরোধ জানান।
জৈন্তাবার্তা / জারা