ফাইল ছবি
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে তার শশুর আ. লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ধরণের অনিয়ম এবং দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় আ. লীগ সরকারের পতনের পর তার যোগসাজসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আ. লীগ সরকারের একাধিক দুর্নিতীবাজ এমপি, মন্ত্রীকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন জিল্লুর রহমান।
ওই সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর হাওরের জেলা সুনামগঞ্জসহ জিল্লুর রহমানের নিজ গ্রাম আহমদাবাদের সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। শুধু তাই নয় তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জের সচেতন মহলে দেখা দেয় তীব্র অসন্তোষ।
তারা বলছেন, হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের এমন একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় এমন একটি মিথ্যা, ভুয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রচার করায় জেলা শহর সুনামগঞ্জের সচেতন মহল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য জালাল উদ্দিন ফকির বলেন- আমরা গভির্ত যে, অবহেলিত, অনুন্নত ভাটি অঞ্চলে এমন একজন সৎ এবং নিষ্টাবান কর্মকর্তা দেশের একটি শীর্ষ পর্যায়ে চাকুরী করেও আমাদের গরীব,দুঃখীদের কথা চিন্তা করে উনার নিজ গ্রাম আহমেদাবাদে গ্রামে একটি এতিমখানা এবং একটি অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন। আমার জানামতে উনার উত্তরসুরীরা কেউ কোন দুর্নিতী সাথে জড়িত থাকতে পারে না। উনার বিরুদ্ধে কেউ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে উনি এবং উনার পরিবারের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করাচ্ছে।
উপজেলার হাজি মজিদ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, জিল্লুর রহমান আমাদের অবহেলিত ভাটির জনপদের একজন গর্বিত সন্তান। উনার বিরুদ্ধে জাতির বিবেক সাংবাদিককে মিথ্যা, ভুয়া এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে এমন ভিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করিয়েছে। আমরা উপজেলাবাসী এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ওই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনে সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তি জিল্লুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোড়পূর্বক জমি দখলের যে অভিযোগ করেছেন তারই ব্যখ্যা দিতে গিয়ে একই গ্রামের অপর সংখ্যালগু অমল কুমার দাস তালুকদার গতকাল সোমবার এ প্রতিবেদক কে বলেন- জিল্লুর রহমান আমাদের ভাটি অঞ্চলের একজন গর্বিত সন্তান। উনার দ্বারা আমাদের এ অবহেলিত ভাটি অঞ্চলের মসজিদ, মন্দির, স্কুলসহ নানা ধরণের দাতব্য প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে। এমন একজন স্বজ্জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া, মিথা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যে সকল ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছেন তারা শুধু জিল্লুর রহমানকেই সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেন নি। তারা আমাদের পুরো উপজেলাবাসীকেই সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আমি এসব লোকেদের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু বলেন- জিল্লুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জের একজন কৃতি সন্তান নন। তিনি পুরো জেলার কৃতি সন্তান। তার বিরুদ্ধে যে বা যারাই এসব মিথ্যা অপপ্রচার করেছে তারা শুধু জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধেই অপপ্রচার করেন নি। তারা গোটা জেলাবাসীর বিরুদ্ধেই অপপ্রচার করেছেন। আমার জানা মতে জিল্লুর রহমান এবং পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সুনামগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগের গর্বিত সন্তান। এমন স্বজ্জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ মিথ্যাচার করলে সুনামগঞ্জবাসী কঠোর আন্দোলনে যেতেও পিছপা হবেনা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থলবন্দও কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন আমি এবং আমার পরিবারের কোন সদস্যই কোন ধরণের অনিয়ম এবং দুর্নির্তীর সাথে জড়িত নয়। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করছে।
এম সি