এইচ.এম.পি স্কুলের শিক্ষার্থীকে মা র ধ রে র ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৫

এইচ.এম.পি স্কুলের শিক্ষার্থীকে মা র ধ রে র ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

মনোয়ার চৌধুরী

প্রকাশিত: ২৫/০৯/২০২৪ ০৯:১৮:৫০

এইচ.এম.পি স্কুলের শিক্ষার্থীকে মা র ধ রে র ঘটনায় ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

ছবি: নিজস্ব


সুনামগঞ্জে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করার অপরাধে এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনসান মিয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

No description available.

জানা যায়, মারধরের সাথে যুক্ত থাকা প্রমাণিত হওয়ায় এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী  ইসহাক আহমদ রিয়াম, ওয়াহিদুল ইসলাম, আবরার হাদি সাতিক এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার জিসানকে বহিষ্কার এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি, অবিভাবক, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

No description available.

বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে আমরা নিশ্চিত হই এরা আমাদের এইচ এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মারধরের এমন নমুনায় আমরা মর্মাহত।  আমরা সবাই চাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তি হোক। পরে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর আহ্বানে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জরুরী সভায় শিক্ষক, অবিভাবক,সুশীল সমাজ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিকসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জরুরী সভায় ভুক্তভুগী পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সাথে কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় কাজ করছে  সে ভয় কাটাতে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়। পরে উপস্থিত সবার সম্মতিতে ৫ জনের কমিটির গঠনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের জরিমানা প্রদান এবং অভিযুক্ত ৪ জনকে বহিষ্কার এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

No description available.

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা মহিম উদ্দিন জানান,  আমরা সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। উপস্থিত সবাই আমার ভাতিজার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন ন্যায় বিচারে আমরা খুশি। আর বয়স বিবেচনায় এদের যাতে বহিষ্কার না করা হয় এমনটা চাই।

অভিযুক্ত রিয়ামের চাচা প্রকাশ আহমেদ জানান, আমি আমার ভাতিজার এমন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমরা সবার কাছে লজ্জিত।  আমরা আমাদের সন্তানের নজরদারি বাড়াবো।ভবিষ্যতে যাতে সে এ ধরনের আচরণ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবো। 

No description available.

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনসান মিয়া জানান,  আমি এই মারধরের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমি জানামাত্রই ব্যাবস্থা নিয়েছি। আমাদের নেয়া পদক্ষেপে ভুক্তভুগী পরিবার সন্তুষ্ট আছেন বলে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ম্যানেজিং কমিটির কাছে বহিষ্কারের ব্যাপারে লিখিত  দিয়েছি।

জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার