ছবি: খানাখন্দে ভরা আজমিরগেঞ্জের বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়ক।
হবিগঞ্জ জেলা আজমিরগেঞ্জের বানিয়াচং (শরীফ উদ্দিন) সড়কের যানবাহন চলাচল রীতিমত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে, রাস্তার দুরবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারন মানুষ। যার ফলে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে।
আজমিরীগঞ্জ -বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কের ৩২কোটি টাকার মেগা প্রকল্প টেন্ডার দেয়ার পরও কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান টেন্ডার নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেনি। যে কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে আজমিরীগঞ্জ -বানিয়াচং সড়কে। রাস্তার বেহাল অবস্থায় জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা মানুষ অতিষ্ঠ জীবন কাটাচ্ছেন। সদরের সাথে একমাত্র যোগাযোগের অবলম্বন হচ্ছে শরিফ উদ্দিন সড়ক ও আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং-ভায়া শিবপাশা সড়ক সেই সড়ক গুলোরও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পিচ–খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। বৃষ্টি হলেই ছোট-বড় খানাখন্দ পুকুরে আকার ধারণ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আজমিরীগঞ্জে উপজেলা সদরে মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে জলসুখা ঈদগাহর সামন এবং ঝিংরি ব্রীজের গোড়ার সংযোগ স্থানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির এমন ভাঙ্গন ও বেহাল দশা থাকলেও যানবাহন চালকদের জন্য নেই কোন সতর্কীকরণ বোর্ড। এসব ঝুঁকি মধ্যেই চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, মালামালবাহী ট্রাক,পিক আপ সহ শতশত যানবাহন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে শতশত যাত্রীবাহী, মালবাহী পরিবহন চলাচল করে। তাই সড়কটির দ্রুত মেরামত না করা হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড়ধরনের দুর্ঘটনা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের এই বেহাল দশা থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
রাস্তার সংষ্কার কাজের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩২ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন হয়। কিন্তু আলোর মুখ দেখতে পাননি ভাটি এলাকার জনগনের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতন হওয়ার পরও এই অনুমদিত মেগা প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।এই বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকেীশলী(সওজ) সড়ক উপ- বিভাগ হবিগঞ্জ , মোঃ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টেন্ডার আহব্বান করলেও কেউই এই টেন্ডার পাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেনি, তবে আবারও টেন্ডার আহব্বান করা হবে। বর্তমানে আমরা ইট ও মাটি দিয়ে খানাখন্দ ভরাটের চেষ্ঠা করছি।
কখন আবারও টেন্ডার আহব্বান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সিলেট জোন অফিস থেকে টেন্ডার বের হয়েছিল। কবে রি টেন্ডার হবে এটা তারা বলতে পারবে ।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সড়ক জন সিলেট, এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সওজ) সার্কেল সিলেট'র এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি
জৈন্তাবার্তা / রহমান