বাহুবলে মহিলা কর্ণার পুরুষের দখলে!
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৪

প্রকৌশলীর শোকজের জবাবে পুরুষ নিয়োগের স্বীকারোক্তি, চুক্তি বাতিলের দাবী

বাহুবলে মহিলা কর্ণার পুরুষের দখলে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১/১০/২০২৪ ০৫:৩১:৩৭

বাহুবলে মহিলা কর্ণার পুরুষের দখলে!

ছবি: নিজস্ব


হবিগঞ্জের বাহুবল বাজারের মহিলা কর্ণার নামে মহিলাদের পরিচালিত দোকান কোঠা পুরুষ দ্বারা আবারো পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পুরুষ পরিচালিত হয়ে আসার পর গত বছরের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা পূর্বের ভাড়াটে মহিলাদের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে আগ্রহী মহিলাদের নিকট হতে দরখাস্ত আহবান করা হয়।

নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে তালিকা দেবেন ইউএনও অফিসে। তিনি সেই তালিকা অনুযায়ী ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করবেন।

পূর্বের ভাড়াটে মহিলারা ছিলেন ৪নং বাহুবল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর বোন ও বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলমের স্ত্রী জেসমিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শামীম মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ও যুবলীগ নেতা মজনু মিয়ার স্ত্রী লিজা আক্তার।

মূলত: তাদের নামে বরাদ্দ হলেও তারা দীর্ঘদিন উপ ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের জামানত নিয়ে পূরুষের কাছে ভাড়া দেয়া হয়।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে- ওই মহিলা কর্ণারের টয়লেটটিও দখল করে গুদাম বানানো হয়। কিন্তু এবারও সেই আগের ভাড়াটেরাই নতুন করে ভাড়া প্রাপ্ত হন এবং পুরুষের কাছে উপভাড়া দেয়া হয়। পুরুষরা ওই ৩টি মহিলা কর্ণার দোকান মুদি মালের ব্যবসা করে যাচ্ছে।

এর পর বিষয়টি দৈনিক জৈন্তাবার্তা'য় সংবাদ প্রকাশ হলে বাহুবল বাজারে তোলপাড় শুরু হয় এবং অন্যান্য মহিলা আবেদনকারীদের মাঝে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

চাপের মুখে উপজেলা প্রকৌশলী ওই তিন মহিলাকে শোকজ করেন। শোকজের জবাবেও পুরুষ নিয়োগের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোন আইনে বা বিধিতে ভাড়াপ্রাপ্ত মহিলারা পুরুষ নিয়োগ করেন? তারা কি পুরুষ কর্মচারী নিয়োগ করতে পারেন? নিজেরা তো কোনদিনও দোকানে আসেননি।

জানতে চাইলে বাজার কমিটির সভাপতি এম এ জলিল তালুকদার বলেন- বিষয়টি আমার কাছে বেআইনী বলেই প্রতিয়মান হয়। প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।

উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, চুক্তিবদ্ধ মহিলাদের আমি শোকজ করেছি এবং তারা জবাব দিয়েছেন।জবাব পযালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মানুষ মনে করেন,যেহেতু ওই মহিলারা আগেও ঘর বরাদ্দ পেয়ে অভিযুক্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকেই পূন:রায় দোকানঘর বরাদ্দ দেয়া প্রশাসনের উচিৎ হয়নি।ফলে বর্তমান চুক্তি বাতিলের দাবী জানান তারা।

জৈন্তাবার্তা / জারা