ছবি: নিজস্ব
গোয়াইনঘাটে হাঁস পালন করে সফল হয়েছেন তরুণ খামারী জামাল উদ্দিন । এখন স্বপ্ন দেখছেন বড় উদ্যোক্তা হওয়ার। যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দীন। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে স্বচ্ছলতা ফিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর প্রবাসে। দালাল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হয়ে দুই বছর প্রবাসে থেকে কোন রকমে জীবন নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি।
দেশে এসে অল্প কিছু পুঁজি দিয়ে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ২০২৩ সালে দুইশত হাঁস কিনে শুরু করেন লালন পালন। শুরুতেই হাঁসের ডিম বিক্রি করে ছয় মাসে খরচ বাদে তার আয় হয় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা।বর্ষার সময় হাঁস পালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময় হাঁস বিক্রি করে দিয়ে ছয় মাস তিনি কৃষি কাজ করেন। তরুণ খামারি জামাল উদ্দিন জানান,ছয় মাস হাঁস লালন-পালন করে যে টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে সংসার ও আনুষঙ্গিক খরচ চলে। হাঁস বিক্রি করে পুজিটা জমা রেখে দেন। মূল পুঁজি খোয়া যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন,দুইশত হাঁসেের খামারটা ছোট হওয়ায় এই বছর পাঁছ শত হাঁস দিয়ে শুরু করেছেন।ছয় মাসে হাঁস লালন পালন করে শুধুমাত্র ডিম বিক্রি করে ছয় লক্ষ টাকার মত আয় হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন বড় উদ্যোক্তা হওয়ার।পাশাপাশি শুরু করেছেন ৪ শতক জায়গায় পুকুর করে মাছ চাষ।
তরুণ খামারি জামাল উদ্দিন তার সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, বছরে ছয়মাস একবার যখন মাঠ ফাঁকা থাকে তখন হাঁস পালন করলে খুব লাভবান হওয়া যায়। তখন হাঁসের চাহিদাও থাকে বেশি, ভালো দামও পাওয়া যায়। এ সময় মাঠ-ঘাটে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায় খরচ কম হয় ফলে লাভ বেশি থাকে।তিনি আরো বলেন,বিদেশে গিয়ে আমরা যে পরিশ্রমটুকু করি দেশে যদি তার অর্ধেক পরিশ্রম করি তবে অনেক কিছু করে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জৈন্তাবার্তা / সুলতানা