চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে, চাঁ দা বা জি বন্ধ হয়নি
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৮

ফরিদপুরে ফয়জুল করীম

চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে, চাঁ দা বা জি বন্ধ হয়নি

জৈন্তা বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩/০১/২০২৫ ১০:২৮:৩৪

চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে, চাঁ দা বা জি বন্ধ হয়নি

ছবি : সংগৃহীত


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দল ক্ষমতায় থাকলে জামিন পায়। এ রকম সমাজ আমরা চাই না। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টকে বিদায় দেওয়ার পর ভেবেছিলাম দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আর কোনো লুটপাট হবে না। ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করবে। কিন্তু কী দেখলাম? দখলদারী, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। 

তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। ঘুষ বন্ধ হয়নি। নেতার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু নীতির পরিবর্তন হয়নি। ওসি পরিবর্তন হয়েছে, ঘুষ পরিবর্তন হয়নি। ডিসি পরিবর্তন হয়েছে, ঘুষ পরিবর্তন হয়নি। ব্যক্তি পরিবর্তন হয়, ঘুষ পরিবর্তন হয় না। তাই আমরা নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই। ডাকাতের মাধ্যমে ডাকাতি পরিবর্তন হয় না। বার বার রক্ত দেবেন, কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন । 

ভাঙ্গা বাজার পৌর বাসস্ট্যান্ডে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভাঙ্গা উপজেলা শাখারউদ্যোগে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

ফয়জুল করীম বলেন, গত ১৫ বছর যারা শাসন করেছে তারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন বিরোধীরা ছিল জেলে। এখনো আবার বিরোধীরা জেলে। এর অর্থ হচ্ছে বিচারালয় স্বাধীন নয়।

তিনি বলেন, যাদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়ে মদের আইন পাস করিয়েছেন তাদের অপকর্মের দায় পরকালেও ওই ভোটারদের ভোগ করতে হবে। 

ফয়জুল করীম বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। সাম্য থাকলে সবাই সমান থাকবে। কামার, কুমার, ঋষি, মেথর, ধনী, গরিব, মুসলমান, হিন্দু সবাই সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। এজন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভেবেছিলাম অধিকারের জন্য আর কারও আন্দোলন করতে হবে না। কিন্তু তা হয়নি। 

তিনি বলেন, ঝাঁকে চললে হবে না। আবেগে গা ভাসালে হবে না। গরু, মহিষের পাল হইয়েন না। নেতা যা বলে, তা করে জানোয়ার হতে পারা যায়, মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে বিবেক দিয়ে চলতে হবে। সবাই মিথ্যা বলছে দেখে মিথ্যা বলা যাবে না। সবাই লুট করুক আমি করব না। এটা মানুষের কাজ। 

ফয়জুল করীম বলেন, যারা নৌকার নির্বাচন করে, তারা নৌকা চালাতে পারে না। যারা ধানের শীষের নির্বাচন করে, তারা ধান চাষ করতে পারে না। যারা লাঙ্গলের নির্বাচন করে, তারা লাঙ্গল চালাতে পারে না। হাত পাখা হিন্দু, মুসলামান সকলের প্রয়োজন। হাত পাখা শান্তির  প্রতীক। হাত পাখায় চলে আসলে দুনিয়াতে শান্তি পাবেন, আখেরাতে মুক্তি পাবেন।  

ভাঙ্গা উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপদেষ্টা মুফতি আনোয়ার হোসেন, ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল,  সেক্রেটারি হাফেজ মিজানুর রহমান, জেলা সহসভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. জাহিদ হোসেন,  সদরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার