
প্রতীকী ছবি
সুন্নি ও ক্বওমি দ্বন্দ্ব বেড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথে। এ ধরনের দ্বন্দ্ব কয়েক যুগ বন্ধ ছিল। ইদানীং বিষয়টি উদ্বেগ বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই বলছেন, ক্বওমি মসলক দাবিদার আলেমরা বাড়াবাড়ি করছেন। ক্বওমি আলেমগণ সুন্নিদের ঘোষিত ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করতে প্রশাসন বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিশ্বনাথে সুন্নি ও ক্বওমিদের মাঝে ওয়াজ মাহফিল ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েছে ইদানীং। পাল্টাপাল্টি মাহফিল ঘোষণা করায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
জানা যায়, বিশ্বনাথের দেওকলস ইউনিয়নের সৎপুর এলাকায় সুন্নিদের ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বুধবার (২৯ জানুয়ারি)। এই মাহফিল বন্ধ করার জন্য ক্বওমী ঘরানার ওলামায়ে কেরাম এটাকে তাদের নিজেদের মসলকি এলাকা দাবি করে এ জাতীয় ওয়াজ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন জানান। আবেদন করেছেন এলাকার ক্বওমী ঘরোনার ওলামায়ে কেরাম। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অপরদিকে, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কান্দিগ্রামের দক্ষিণের মাঠে ৩১ জানুয়ারি আরেকটি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করেছে খাদেমুল কোরআন পরিষদ নামক একটি সংগঠন। তবে প্রচারপত্রে সংগঠনের সভাপতি সেক্রেটারি হিসেবে কারও নাম না থাকায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এই মাহফিলটি বন্ধ করতে সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েকজনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন ২২ জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানার ওসি বরাবরে করা হয়েছে- এমন একটি অভিযোগের কাগজ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
খাদেমুল কোরআন পরিষদ নামক সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সভাপতিসহ প্রায় সকল বক্তাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিশ্বস্ত আধ্যাত্মিক গুরু শাহবাগী খ্যাত মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এর ছাত্র, সহযোগী, ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগী। এলাকাটি ফুলতলী মসলকে ঘেরা এবং পাশাপাশি দুটি ফুলতলী মসলকের মাদ্রাসা রয়েছে। রয়েছে ক্বওমী ঘরানার স্থানীয় ওলামায়ে কেরামের মধ্যে এই মাহফিল নিয়ে আপত্তিও। আয়োজকদের সকলেই বহিরাগত বলে জানা গেছে।
এই এলাকায় রয়েছে মাজারসহ মাইজ ভান্ডারী ভক্তদের প্রভাবও। আর মাহফিলে আসছেন সিলেটে শাহপরানের মাজার ভাঙচুরকারীদের নেতা মাওলানা মশতাক আহমদ খান।
তাই এলাকাবাসী এই মাহফিল বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি, ক্বওমি সুন্নি ফেতনা বন্ধ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
