
ছবি : সংগৃহীত
“সিলেট অঞ্চলে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর ভূমিকা ঐতিহাসিকভাবে অনস্বীকার্য। তিনি শুধু একজন সুফি সাধকই নন, ছিলেন একজন বীর মুজাহিদ ও ওলিকুল শিরোমণি”—এমন মন্তব্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) ১২৩২তম নিয়মিত সাহিত্য আসরে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে ২০২৫) সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাহিত্য আসরে সভাপতিত্ব করেন সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন ছড়াকার আব্দুস সামাদ।
আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেমুসাসের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কেমুসাস সহসভাপতি ও মাসিক শাহজালাল সম্পাদক রুহুল ফারুক, কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ইসলামী চিন্তাবিদ শাহ নজরুল ইসলাম, আল ইসলাহ সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, পাঠাগার সম্পাদক কবি নাজমুল আনসারী এবং লেখক-গবেষক শামসীর হারুনুর রশিদ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সিলেটের ইতিহাসে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর আগমন এক যুগান্তকারী অধ্যায়। গৌড়ের রাজা গৌবিন্দ কর্তৃক শেখ বুরহান উদ্দিনের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় সাড়া দিয়ে শাহজালাল (রহ.) ও তাঁর ৩৬০ সফরসঙ্গী সিলেটে এসে যে ইসলামী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, তা আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
আসর শুরু হয় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, তেলাওয়াত করেন ওমর ফারুক।
স্বরচিত লেখাপাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন মোয়াজ আফসার, ছয়ফুল আলম পারুল, নাঈমুল ইসলাম গুলজার, ওমর শরীফ নোমান, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মো. লোকমান খান, কামাল আহমদ, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক শাওন, শাহ সরোয়ার আলী, মোহাম্মদ আল ওয়ালিদ, মোখলেছুজ্জামান, মো. সোয়েব আহমদ এবং মো. লিলু মিয়া।
জৈন্তাবার্তা / রহমান
