শারীরিকভাবে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসায় গেছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
শনিবার (৩১ মার্চ) রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান চিকিৎসক দল। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি এখনও কিছু জানি না। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা ম্যাডামের বাসায় আছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনের সামনে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া প্রস্তুতি দেখা গেছে।
এর আগে, ২৭ মার্চ বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য সেদিন রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু সেদিন রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।
পরে ২৮ মার্চ দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
সবশেষ, গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পর দিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
জৈন্তাবার্তা/এমকে