
ছবি : সংগৃহীত
আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে চলা সংঘাতে ওই বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটেছে বলে শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন।
তুর্ক বলেছেন, বিশ্বের নবীন এই রাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রাণ বাঁচাতে আরও হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দক্ষিণ সুদান। স্বাধীনতা লাভের পর ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দেশটি। আর এই যুদ্ধে প্রায় ৪ লাখ মানুষ নিহত ও ৪০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
২০১৮ সালে লড়াইরত গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ক্ষমতা ভাগাভাগির এক চুক্তির পর অস্থায়ী শান্তি ফিরে এলেও গত কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট কিরের অনুসারীদের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচারের সমর্থকদের নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই গত মার্চে মাচারকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে ভলকার তুর্ক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কিরের নেতৃত্বাধীন এসএসপিডিএফ ও মাচারের এসপিএলএ-আইও এবং তাদের সহযোগী মিলিশিয়াদের মধ্যে চলমান সংঘাতে কমপক্ষে ৭৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে দেশটির আরও হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জংগলেই রাজ্য ও নীল অঞ্চলে এসপিএলএ-আইওর অবস্থান লক্ষ্য করে দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।’’
সেখানকার বেসামরিক লোকজনের বসতিও হামলার শিকার হয়েছে। চিকিৎসাবিষয়ক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) মেডিক্যাল স্থাপনাও আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভলকার তুর্ক।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ সুদানের চলমান উত্তেজনায় নতুন করে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার
