
ছবি : সংগৃহীত
সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে দল। স্বাভাবিকভাবেই এখন কিছুটা নির্ভার কোচ লিওনেল স্কালোনি। যে কারণে অভিজ্ঞদের বদলে তরুণ মুখদের যাচাই করতে চাইছেন ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জেতা এই কোচ। এক বছর পরেই বিশ্বকাপ, তার আগেই নিজের দলটাকে সাজিয়ে নিতে চান তিনি, সেটা স্পষ্ট হলো আবারও।
চিলির বিপক্ষে এই তারুণ্যনির্ভর আর্জেন্টিনা পাশ নাম্বার পেয়েছে বলতেই হবে। নিকো পাজ, থিয়াগো আলমাদা, হুলিয়ান আলভারেজ, ফ্রাংকো মাস্তানতুয়োনোরা খেলেছেন বেশ ভালোই। সেই সুবাদে আর্জেন্টিনাও পুরো ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে চিলির বিপক্ষে। ১-০ গোলে জয় এসেছে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে থ্রু পাস দেন থিয়াগো আলমাদা। এরপর বক্সের ভেতর থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ছন্দে থাকা আলভারেজ। সেটাই শেষ পর্যন্ত ফলাফল গড়ে দেয়।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ১১ জয়, ১ ড্র ও ৩ হারে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকল আর্জেন্টিনা। আর এই হারের পর চিলির বিশ্বকাপ স্বপ্ন কার্যত শেষ।
চিলির বিপক্ষে ম্যাচটাকেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেই বলেছিলেন অন্তত একজন তরুণ থাকছেন স্কোয়াডে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একাধিক তরুণকে মাঠে নামিয়েছেন স্কালোনি। লিওনেল মেসি মাঠে নেমেছিলেন বদলি হিসেবে।
লিওনেল মেসি-লাওতারো মার্তিনেজদের বেঞ্চে রেখে তিনি একাদশ সাজান থিয়াগো আলমাদা-নিকো পাজদের নিয়ে। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে স্কালোনি মাঠে নামান ১৭ বছর বয়সী অভিষিক্ত ফ্রাঙ্কো কেও।
মাঠে নেমে ৩৩ মিনিট খেলেছেন মেসি। এর মধ্যে ২টি শট নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ঝলকও দেখিয়েছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো গোল পাননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ম্যাচের শেষ দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ এক সুযোগ মিস করেছিলেন গুইলিয়ানো সিমিওনে। সেখান থেকেও গোল আসেনি আলবিসেলেস্তেদের পক্ষে। ১-০ গোলের জয় দিয়েই তাই শেষ হয়েছে তারুণ্যে ঠাসা আর্জেন্টাইনদের মিশন।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
