ভারত থেকে আসছে গরু দোয়ারাবাজারে লোকসানের আশঙ্কায় খামারিরা
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৬

ভারত থেকে আসছে গরু দোয়ারাবাজারে লোকসানের আশঙ্কায় খামারিরা

মামুন মুন্সি, দোয়ারাবাজার

প্রকাশিত: ১১/০৬/২০২৪ ০৮:৩৪:২৯

ভারত থেকে আসছে গরু দোয়ারাবাজারে লোকসানের আশঙ্কায় খামারিরা

ছবি: সংগৃহীত


সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী দোয়ারাবাজারে খামারিদের মাঝে হাটে গরু নিয়ে যাওয়ার আনন্দ যেমন আছে, তেমনি লোকসানের আশঙ্কাও করছেন তারা। খামারিরা বলছেন, অনেক টাকা খরচ করে গরুর লালন-পালন করেছেন, লক্ষ্য ছিল খামারে পালন করা পশুর ভালো দাম পাবেন। কিন্তু সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার সব খামারি বেকায়দায় পড়েছেন। 

কুরবানির পশুগুলো কেনাবেচা করার জন্য পুরো উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ১০থেকে ১৫টি কোরবানির হাট বসেছে। এরমধ্যে বাংলাবাজার, নরসিংপুর, বোগলা, লক্ষীপুরে হাট বসেছে। 

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংপুরের বালিউড়া বাজারে দেশীয় গরুর কেনাবেচা কম কিছু বিক্রি হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না খামারিরা। 

দোয়ারাবাজার সদরের খামারি আবুল কাসেম বললেন, ভারতীয় গরুর প্রভাব বাজারে পড়েছে। আগের মতো মানুষের মাঝে দেশীয় গরুর চাহিদাও নেই। এতে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এই লোকসানের প্রভাব সব খামারিদের উপরে পড়েছে। 

দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পালইছড়া গ্রামের প্রান্তিক বকুল মিয়া হাসান জানান, এবার কোরবানির বাজারে ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর চাহিদা নেই। সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় গরু কিনছেন ক্রেতারা। এতে বড় গরুর খামারিরা লোকসানে পড়বেন। তিনি খামারিদের রক্ষা করার জন্য সরকারিভাবে বড় প্রণোদনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার দাবি জানান। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু হেনা মোস্তফা বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে, খামারিদের বেশিরভাগ গরু ছোট আকৃতির। বাজারে ছোট আকৃতির গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৮ টি পশুর হাটে সপ্তাহে দুই দিন করে গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রি করা হচ্ছে। 

এস এইচ টি/