ছবি: সংগৃহীত
ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের উলহাসনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশি এক তরুণীকে। যার নাম রিয়া অরবিন্দা ভার্দে এবং যিনি নীল ছবির অভিনেত্রী বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত তরুণী বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির রাজ কুন্দ্রা প্রোডাকশনের নীল সিনেমার প্রজেক্টে কাজ করছিলেন। যদিও রাজ কুন্দ্রা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এই অভিনেত্রীকে চেনেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার সম্পর্কে ছড়ানো এই ভুয়া খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। রিপোর্টগুলোতে দাবি করা হয়েছে, একজন অবৈধ অভিবাসী আমার জন্য কাজ করেছিলেন বা আমার একটি অনুমিত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই মহিলার সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি। তাকে আমি চিনি না বা আমার মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন না।’
রাজ আরও জানান, ‘এসব ভিত্তিহীন খবর কেবল আমার খ্যাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, আমার নামকে ব্যবহার করা হচ্ছে লোকের নজর টানার জন্য। আমি এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সহ্য করব না।’
রাজ যে আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন, তা-ও জানিয়েছেন। তার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানান, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশি ওই তরুণীর সঙ্গে রাজের নাম জড়ানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রার সংস্থায় কাজ করেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মক্কেলের বদনাম করার জন্য এসব ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ঘটনায় রাজের আইনজীবী আরও বলেন, ‘যে মিডিয়া হাউজগুলো এই ভুয়া খবর তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে মুম্বাই হাইকোর্টে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।’ এদিকে বছরখানেক আগেই নীল সিনেমা ছবি বানানোর প্রযোজনা সংস্থা চালানোর দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শিল্পা শেঠির স্বামী। মাসখানেক কারাগারেও ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মুম্বাই পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে মুম্বাইয়ের নাভালি এ-র অম্বরনাথে একটি বাংলাদেশি পরিবার জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাস করছে। এরপর এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তের জেরেই রিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার