
প্রতীকী ছবি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি আলিয়া মাদ্রসার দুই ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় চাচাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান (২৫), হিমেল (২২), মারুফ মিয়া (২৬), তৌশিক মিয়া (২২) ও রকি (২৩) নামের যুবকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের পুরান বারুংকা মুচি বাড়ির সামনের কাচা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ওই ছাত্রীদের চাচা নজরুল ইসলামকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নজরুল ইসলাম জানান, বিবাদীরা উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী। এরা মানুষকে সবসময় অত্যাচার-নির্যাতন করে। এদের অত্যাচারে ছেলে-মেয়েরা ঘর থেকে বের হতে সাহস পায় না। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। আমার ভাতিজিসহ আশপাশের মেয়েরা বালিজুরি আলিয়া মাদ্রাসাসহ স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই মেয়েদের উত্যক্ত করে এই বখাটেরা। প্রতিদিনের মতো আমার দুই ভাতিজি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেরা গতিরোধ বন্ধ করে অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে এবং উতক্ত করে। ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গিয়ে তাদের এমন ব্যবহারের কারণ জিজ্ঞেস করলে ইভটিজাররা আমাকে প্রাণে মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে আমাকে এলাকাবাসী ইভটিজারদের হাত থেকে রক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এই সকল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ইভটিজারদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত মেহেদী, হিমেল, মারুফ, রকি কাউকেই পাওয়া যায়নি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
