
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নো নো’ রহস্য
সব ‘না’-এর মমার্থ অসম্মতি নয়। অনেক সময় ‘না’-এর আড়ালে লুকিয়ে থাকে মধুর সম্মতি। ‘না’ বলেই ভালোবাসার মানুষের পাগলামিকে স্বাগত জানান প্রিয়তমা। কূটনীতিতেও ‘না’ মানেই নেতিবাচক না। সবকিছু শেষ না। গাজা আক্রমণে ইসরায়েলকে মার্কিন ‘না’ আসলে সম্মতি। প্রচ্ছন্ন মার্কিন সমর্থনেই ইসরায়েল গাজায় নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে। এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। যেখানে ‘না’-এর অর্থ ‘হ্যাঁ’। অনেক সময় ‘না’-এর অর্থ থাকে অস্পষ্ট, রহস্যময়তার চাদরে ঢাকা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের ‘নো নো’ উচ্চারণ নিয়ে গবেষণা হতেই পারে।
গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিং করছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এ মুখপাত্র। যথারীতি এ ব্রিফিংয়ে এসেছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তরে মিলার যা বলেছেন, তার সারসংক্ষেপ এরকম—বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং নির্বাচনের দিন সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে তারা অবহিত এবং এর নিন্দা জানায়। ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘যখন আপনারা বলছেন বাংলাদেশের এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়নি তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? উত্তরে মিলার ইংরেজিতে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তা হলো—‘নো নো’। এর বাইরে তিনি কিছু বলেননি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের এই ‘নো নো’-এর অনেক ব্যাখ্যা হতেই পারে। প্রথমত; প্রশ্নটি ছিল নেতিবাচক বা না সূচক। যদি প্রশ্ন করা হতো যুক্তরাষ্ট্র কি স্বীকৃতি দেবে? এর উত্তরে যদি মিলার বলতেন ‘নো নো’, তাহলে এটি হতো সরাসরি ও স্পষ্ট। যার অর্থ দাঁড়াত নতুন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু প্রশ্নটি ছিল ‘স্বীকৃতি দেবে না?’—এর উত্তরে ম্যাথু মিলার নো নো বলেছিলেন। যার অর্থ দাঁড়ায় স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।। স্বীকৃতি না দেওয়াকেই নো বলেছেন মার্কিন এ কূটনীতিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মিলারের ডাবল নো নিয়ে কিছুদিন চর্চা হবে। যে যার মতো করে ব্যাখ্যা দেবে। কিন্তু ঝানু কূটনৈতিকরা ঠিক বুঝবেন, এর মানে হলো, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান এখনো ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’। এজন্যই পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। যে উত্তরের নানারকম ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রও অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবে অনায়াসে।
নির্বাচনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে রহস্যময় আচরণ করছে। এটাকে আরও সহজ করে বলা যায় দ্বিমুখী নীতি। নতুন সরকার শপথ গ্রহণের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মিস্টার হাস। ১১ জানুয়ারি শপথ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গভবনে তাকে সপ্রতিভ এবং স্বতঃস্ফূর্ত দেখা গেছে। পিটার হাসের মুখে কদিন আগেও যে কালো মেঘের আবরণ ছিল, তা সরে গিয়েছিল সেদিন। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘অংশীদারত্বের সম্পর্ক’ এগিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পিটার ডি হাস স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব করেছেন এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। ওয়াশিংটনের সবুজ সংকেত ছাড়া তিনি এসব করতে পারেন না। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এসব তৎপরতার মধ্যে দিয়ে নতুন সরকারকে এরই মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন সরকার এরই মধ্যে বৈধতা পেয়ে গেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র বা যে কোনো দেশের কাছে যদি ১১ জানুয়ারির গঠিত সরকার গ্রহণযোগ্য না হতো, তাহলে এভাবে মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘটা করে বৈঠক হতো না। তাই নতুন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই তাদের অস্বস্তি ও নেতিবাচক অবস্থানের কথা বলছে। নির্বাচনের পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে বিবৃতি দিয়েছিল, তার সঙ্গে বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের একচুলও দূরত্ব নেই। হুবহু একই কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়নি। এ প্রতিবেদনেও যে, মার্কিন বিবৃতিরই অনুরণন হবে, তা বলাইবাহুল্য। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্র ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এ কথা বললেও নির্বাচনের পরপরই কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। যেমনটি দিয়েছিল কম্বোডিয়া ও নাইজেরিয়ার নির্বাচনের পর। ওই দুই দেশে নির্বাচনের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি এ মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। তবে অনেক দেশেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বা অন্য ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সময় নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কোথাও ছয় মাস, কোথাও এক বছর পর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্বের ক্ষমতাধর এ রাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ভোট বর্জনকারী বিএনপি ভালো করেই জানে। নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী একাধিক বক্তৃতায় এ প্রসঙ্গটি সামনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের তথাকথিত গবেষণা রিপোর্ট থেকে। এটি কি গবেষণা রিপোর্ট না বিএনপির বিবৃতির ভাবসম্প্রসারণ, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। টিআইবির রিপোর্টটি যে উদ্দেশ্যমূলক এবং দুরভিসন্ধির একটি অংশ, তা একাধিক কারণে অনুভব করা যায়। প্রথমত; টিআইবি একটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। প্রতিটি সংস্থার কাজের আলাদা ম্যান্ডেট থাকে। টিআইবি যদি নির্বাচনে দুর্নীতি কিংবা কালো টাকার ব্যবহার, প্রার্থীদের সম্পদ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করত, তাহলে কোনো কথা ছিল না। কারণ এ ধরনের গবেষণা করাটা তাদের দায়িত্ব। এসব বিষয়ে গবেষণা টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমেরই অংশ। কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পাতানো ছিল কি না, কত শতাংশ ভোট পড়েছে—এসব অনধিকার চর্চার সাহস তারা কোত্থকে পেল? টিআইবি কি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান? এনজিও ব্যুরো থেকে তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক গবেষণার অনুমতি নেওয়া আছে? এ প্রশ্নের উত্তরগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। টিআইবি যদি তার ঘোষিত কাজের পরিধির বাইরে গিয়ে কাজ করে তাহলে অবশ্যই এ প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিল করা দরকার। পৃথিবীর যে কোনো দেশ হলে, এখতিয়ারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য টিআইবি শাস্তি পেত।
দ্বিতীয়ত; টিআইবির গবেষণার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ন্যূনতম গবেষণার নীতি এবং নৈতিকতা অনুসরণ করা হয়নি। তথ্য-উপাত্ত যাচাই ছাড়াই কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। অতীতেও এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু নিম্নমানের গবেষণা করেছে। তবে এবারের কথিত গবেষণা একেবারে আবর্জনা। গবেষণার জগতে এটি একটি নিকৃষ্টতম কাজগুলোর একটি। এই বানোয়াট, উদ্ভট প্রতিবেদনের দুর্গন্ধ বহুদিন সত্যিকারের গবেষকদের বিব্রত করবে। যে কোনো নির্মোহ গবেষক এ ধরনের প্রতিবেদন পড়ে বিরক্ত হবেন, বমি করবেন। টিআইবি উদ্দেশ্য ছাড়া এ কাল্পনিক গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। টিআইবি, বিএনপি, সুশীল গোষ্ঠী এবং যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে যা বলছে তা একই সূত্রে গাঁথা। বিএনপি-জামায়াতের গৃহপালিত কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের পর থেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে যা বলছে এবং লিখছে, তার সামষ্টিক রূপ হলো টিআইবির রিপোর্ট। এ রিপোর্টে নির্বাচনবিরোধী সুশীলদের বক্তব্যকে একত্রিত করা হয়েছে। যারা নির্বাচনের বদলে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছে, তাদের চেষ্টা যে এখনো অব্যাহত আছে তার প্রমাণ টিআইবির রিপোর্ট। টিআইবি এবং তাদের ছাতার নিচে থাকা গৃহপালিত সুশীলরা আসলে পশ্চিমাদের ক্রীতদাস। স্বপ্রণোদিত হয়ে তারা এমন উদ্ভট গবেষণা নামের মিথ্যাচার প্রসব করেছে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। অচিরেই আমরা দেখব, টিআইবি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকারের মতো সংগঠনের একপেশে বক্তব্যগুলো মার্কিন প্রতিবেদনে উদ্ধৃত হবে। এদের বক্তব্য উল্লেখ করেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে? নতুন নির্বাচনের দাবি করবে? এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন এবং নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ নিয়ে দ্বৈত কৌশল গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে তারা চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাচ্ছে। নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে কী দেবে, কতটা দেবে তা বোঝার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায়। গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের হিস্যা চায়। মার্কিন সামরিক বলয়ে বাংলাদেশকে রাখতে চায়। বঙ্গোপসাগরের সামরিক উপস্থিতি চায়। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশকে চীনের প্রভাব বলয় থেকে বের করে আনতে চায়। কয়েক বছর ধরে এসব চাওয়া নিশ্চিত করতেই এ দেশে মার্কিন মনোযোগ। নতুন সরকারের সঙ্গে ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ ঠিকঠাক হলে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য পরিণত হবে স্রেফ কথার কথা। মার্কিন রিপোর্ট শোভা পাবে মহাফেজখানায়। আর নতুন সরকারের সঙ্গে যদি বোঝাপড়া ঠিকঠাক মতো না হয়, তাহলে শুরু হবে নতুন চাপ। আসবে নানা নিষেধাজ্ঞা। নতুন নির্বাচনের আওয়াজ তুলবেন যুক্তরাষ্ট্রের একান্ত অনুগত সুশীলরা আর সব হারিয়ে নিঃস্ব বিএনপি।
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল কী তা বুঝতে তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ কৌশল ক্রমেই হোঁচট খাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। গত শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিবও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর ফলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যে যাই বলুক, তা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি এ সরকারকে গ্রহণযোগ্যতার সংকট থেকে মুক্ত করবে। তা ছাড়া চীন-রাশিয়া-ভারত আগেই নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পালা করে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমেই একলা হয়ে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি এখন সংকুচিত। যুক্তরাষ্ট্র এখন বিবর্ণ, ক্ষমতাহীন জমিদারের মতো। যাদের অতীত দাপুটে, একসময় প্রভাবশালী ও অত্যাচারী। কিন্তু এখন তাদের প্রতাপ শুধু ইতিহাস। হুংকার দেওয়া, ধমক দেওয়া ছাড়া তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের কথা কেউ শোনে না। তাদের হুংকারে কেউ ভয় পায় না। ম্যাথু মিলারের ‘নো নো’ বিবর্ণ জমিদারের অর্থহীন আর্তনাদ কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
জৈন্তাবার্তা/জেএ
