ছবি: নিজস্ব
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে করা মিথ্যা ও গায়েবী মামলার হুকুমদাতা সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনের সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,তৎকালীন জামালগঞ্জ থানা অফিসার্স ইনচার্জ আবুল হাসেম,
মামলার বাদী এ এসআই তরিকুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল্লাহ আখন্দ সহ কথিত স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর বারোটায় সুনামগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়ন বিএনপির ভুক্তভোগী নেতাকর্মীগণ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আরাফাত উল্লাহ'র সভাপতিত্বে এবং ভীমখালী ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি ও ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, এড. শাহিনুর রহমান শাহিন ,আবুল কালাম, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আব্দুল আখের, ভীমখালি ইউনিয়ন বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ড কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ভীমখালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান, সাবেক মেম্বার ও ভীমখালি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হোসাইন আহমেদ, প্রতিবন্ধী তেরা মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে এড. শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, মিথ্যা মামলা হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘ সাতটি বছর জেল-জুলুম নির্যাতন করেছে, হয়রানি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আবুল কালাম বলেন, আমাদের একটা অপরাধ ছিল, আমরা বিএনপি করি।আমরা কেন আওয়ামীলীগে যোগদান করিনা।
এই কারণে বিগত ১৭ বছর ধরে ভীমখালী ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা কর্মী সহ উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা,নির্যাতন করেছে।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
সাবেক এমপি রতন এর হুকুমে তৎকালীন জামালগঞ্জ থানার ওসি আবুল হাসেম,এসআই সাইফুল্লাহ আখন্দ, এএসআই তারিকুল ইসলাম সহ মিথ্যা মামলার স্বাক্ষীগণ আমাদেরকে দীর্ঘ সাতটি বছর গ্রেফতার,জেল-জুলুম সহ নির্যাতন করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার সহ ক্ষতিপূরণ চাই।
বিএনপি নেতা, আব্দুল আখের বলেন,তৎকালীন ২০১৮ সালের ১৮ই ডিসেম্বর শুক্রবার এজেন্টের কাগজপত্র বিতরণের জন্য একটা অফিস কক্ষে বসার পরপরই আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রতন এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া'র নেতৃত্বে পেটোয়া পুলিশ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলা করে আমাদের অনেককে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলার বিচার চাই।
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তেরাই মিয়া বলেন, আমি ভিক্ষা করি,আমার ছেলে সন্তান নেই, আমার তিনটা মেয়ে সহ পরিবার নিয়ে চলি।
আমি বিএনপি করতাম।আমি কেন ধানের শীষে ভোট দেই।নৌকায় কেন ভোট দেইনা।এইজন্য আমারে পুলিশ মারার মামলার আসামী করা হয়েছিল।
জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার
