লাখাইয়ে সেচ প্রকল্প: সরকারি দর ১৯ কেজি কৃষক দিতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ মন
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:১৫

লাখাইয়ে সেচ প্রকল্প: সরকারি দর ১৯ কেজি কৃষক দিতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ মন

লাখাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬/০৪/২০২৫ ১১:৪৪:২০

লাখাইয়ে সেচ প্রকল্প: সরকারি দর ১৯ কেজি  কৃষক  দিতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ মন

ছবি: নিজস্ব


হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের  রুহিতনসী মৌজায় কুমারুম   সেচ স্কীম ও নয়াহাটি সেচ স্কীম  প্রকল্প থেকে সারা বছর সেচের পানি নিতে প্রতি ৩৩ শতক  জমির জন্য সরকারি দর ১৯ কেজি ধান নির্ধারণ করা হলেও কৃষককে দিতে হচ্ছে  দুই থেকে তিন মন ধান। গজারিয়া সেচ স্কীম প্রকল্পের  ৩৩ শতকে ৫০ কেজি ধান নির্ধারণ করা হলেও  আদায় হচ্ছে আরাই থেকে তিন মন। 


 এ কারণে লাখাই কুমারুম  সেচ স্কীম ও নয়াহাটি সেচ স্কীম  প্রকল্প এলাকার ও গজারিয়া সেচ স্কীম প্রকল্প এলাকার  সুবিধাভোগী কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তবে  উপজেলা সেচ কমিটি বলছে, কৃষকদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি ধান নেওয়া যাবে না। স্থানীয়  কৃষকরা সেচের পানির নেওয়ার জন্য ৩৩ থেকে ১৯ কেজি করে ধান  পরিশোধ করবে। একেই  ইউনিয়নের  রুহিতনসী মৌজায় গজারিয়া ৫০ কেজি দরে নির্ধারণ  করা হয়েছে। 


সেচ প্রকল্প এলাকার   আলামিন মিয়া   জানান, গত ১৩ বছর ধরে কুমারুন  সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে ফসল ফলাচ্ছেন।  পানিতে ফসল ফলাতে উৎপাদন খরচ কম হয়। পল্লী বিদ্যুৎ এর আওতায়  সেচ প্রকল্প থেকে সারা বছর  জমিতে পানি নিতে তাদের দিতে হচ্ছে দুই থেকে তিন মন ধান। কিন্তু সরকারি দর ৩৩ শতকে ১৯ কেজি। রুহিতনসী মৌজায়   গজারিয়া সেচ স্কীম এর সরকারি দর  ৫০ কেজি আরাই থেকে তিন মন  বাড়তি ধান সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার মহিবুর রহমানকে দিতে হয়। ম্যানাজার মহিবুর রহমান  কৃষককে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে দান আদায় করছে, আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুর রহমানের ভয়ে মানুষ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। 

রুহিতসী গ্রামের রানা তালুকদার বলেন কুমারুম  সেচ স্কীম ও নয়াহাটি সেচ স্কীম  এলাকার ও গজারিয়া সেচ স্কীম এলাকায়  প্রশাসন এর  নজরদারি রাখা দরকার। সেচ প্রকল্পের  ম্যানেজার মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের ১৭ বছর মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার তুরপূর্বক কৃষকের নিকট থেকে দানাদায় সহ বিভিন্ন অভিযোগ তার উপর রয়েছে।  কৃষকদের নিকট থেকে সরকারের নির্ধারিত দর থেকে বাড়তি দরে  সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার মহিবুল রহমান  কুমারুম সেচ স্কীম ও নয়াহাটি সেচ স্কীম থেকে দুই থেকে তিন মন ও গজারিয়া সেচ স্কীম থেকে আড়াই থেকে তিন মন ধান আদায় করছে। 

এই দুই সেচ প্রকল্প থেকে প্রতিবছর  কোটি টাকার বেশী আয় হচ্ছে। সেচ স্কীম ম্যানাজার আওয়ামী লীগ প্রভাবশালী নেতা মহিবুর রহমান  শূন্য থেকে আজ কোটিপতি। এ বিষয়ে সেচ প্রকল্প ম্যানেজার মহিবুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। 

 এ ব্যাপারে জেলা বিআরডিসির  সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা রাকিবুল হক বলেন গোপন দল পত্রের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারগগণ সেচ প্রকল্প নিয়েছে কুমারুন প্রকল্পে  ৩৩ শতকে ১৯ কেজি ধান বেশী নেবে কেন, তিন আরো বলেন কৃষকরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ বলেন   বিআরডিসি তে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। 

জৈন্তাবার্তা / সুলতানা