শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:১১

শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

জৈন্তা বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১/০৪/২০২৪ ০৮:৩৭:০৮

শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

সংগৃহীত


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।


রোববার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান।


মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ -এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না এলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।


ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ এমাউন্ট হয়তো খুব বেশি না কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম এফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।


আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থ সংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবে না। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সার্থকতা হারাবে।


তিনি বলেন, কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সব শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।


এইচ বি বা


শীর্ষ সংবাদ: