
ছবি নিজস্ব
বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার ইউনিয়নের উত্তর লঘাটি গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি। এতে যান চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ পথচারীরা। প্রভাবশালীরা পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল ভরাট করে দখল করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাদের মতে, সময়মতো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ কমপক্ষে ৭ থেকে ৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীর যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি গত ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার কোনো সংস্কার হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর লঘাটি গ্রাম ও দাসেরবাজারসহ আশপাশের এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো দাসেরবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কের পাশে থাকা সড়ক ও জনপথের খাল দিয়ে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি খাল দখল করে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে রাস্তাতেই দীর্ঘক্ষণ ধরে পানি জমে থাকায় রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে বাড়িঘরেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
গ্রামের একমাত্র পাকা এই রাস্তা ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়ার ৪ বছর অতিক্রম হলেও আজও মেরামত করা হয়নি। ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে রাস্তাটি যানবাহনসহ জনচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির দূরবস্থার কথা কর্তৃপক্ষের কাছে জানালেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন কুমার চক্রবর্তী জৈন্তাবার্তাকে বলেন, দাসের বাজার এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি ভরাট করায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিগত দুইবারের বন্যায় উত্তর লঘাটি গ্রামের একমাত্র পাকা রাস্তাটি ভেঙে যায়। বৃষ্টি হলেই চলাচলে দুর্ভোগ পোহান এলাকাবাসী। আমি বিষয়টি উপজেলার মাসিক সভায় উত্থাপন করেছি। আশা করছি দ্রুত রাস্তায় সংস্কার কাজ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় বলেন, দাসের বাজার ইউনিয়নের উত্তর লঘাটি গ্রামের এ রাস্তাটি সংস্কারকাজের জন্য একটি প্রকল্প পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু অনুমোদন হয়নি। অন্য আরেকটি প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিষয়টি আমাদের সুনজরে রয়েছে। জনস্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খাল ভরাটের বিষয়টি আমাদের নয়, এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিষয়।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
