
ছবি: নিজস্ব
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি দিয়ে বাসাবাড়ির বর্জ্য সংগ্রহ করে আসছে পৌরসভার একটি টিম। এ কাজে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গাড়ি নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে বাঁশি-ফুঁ দিলেই ময়লাভর্তি ব্যাগ নিয়ে চলে আসছেন ঘরের কর্তারা। এ এক ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী সেবায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে। কুলাউড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রথম বারের মতো এ ধরনের উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছেন পৌর প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন।
গত জানুয়ারি মাস থেকে দুয়েকটি ওয়ার্ডে চালু হলেও এখন সবকটি ওয়ার্ডে চলছে এ কার্যক্রম।
সর্বশেষ চতুর্থ ধাপে পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদে মনসুর, উছলাপাড়া, কাছুরকাপন, লস্করপুর, জগন্নাথপুর, চাতলগাঁওয়ের আংশিক এলাকায় ময়লা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর, বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়তে। পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়তে সকল নাগরিকদের সচেতন থেকে সহযোগিতা করে এগিয়ে আসতে হবে। অনেক নাগরিকগণ তাদের বাসাবাড়িতে জমানো ময়লা-আবর্জনা ইচ্ছে করে নির্ধারিত ডাস্টবিনে না ফেলে পৌরসভার ড্রেন ও সড়কের পাশে ফেলে দিতেন। সেই চিন্তা থেকে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি দিয়ে বাসাবাড়ির ময়লা সংগ্রহের কাজ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে শুরু করা হয়েছে।
পৌর নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা জমিয়ে রাখবেন, সেই ময়লা ভ্রাম্যামাণ গাড়ির চালক বাঁশি বাজিয়ে বাসার সামনে গিয়ে গাড়িতে সংগ্রহ করবে। এতে পৌরসভার সকল নাগরিকদের ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে জমানো ময়লা হস্তান্তর করে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এই কাজে শুরু থেকে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ পৌর এলাকার সকল নাগরিকদের প্রতি।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মাগুরা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নাজমুল বারী সুহেল বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে গত ৩ মাসে প্রায় ৩ শতাধিক নাগরিক তাদের বাসাবাড়িতে জমানো ময়লা পৌরসভার ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে হস্তান্তর করেছেন। ইতিমধ্যে শতাধিক নাগরিক উৎসাহিত হয়ে গাড়ির চালক ও জ্বালানি তেলের জন্য তাদের পক্ষ থেকে সামান্য ফি দিয়েছেন। বর্তমান প্রশাসক মো. মহিউদ্দিন মহোদয়ের এই উদ্যোগটি পৌরসভায় প্রসংশিত হয়েছে।
পৌরসভার কনজারভেন্সী ইন্সপেক্টর মো. সুজন আহমদ বলেন, প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে কার্যক্রম চালুর প্রথমে সাড়া না মিললেও বর্তমানে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে নাম মাত্র একটি ফি নিয়ে এ সেবা দিচ্ছি। এখনও যাদের কাছে এ সেবা পৌঁছেনি আমরা শতভাগ সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে কোন পরিবার এই সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।
জৈন্তাবার্তা / মনোয়ার
