
মৌলভীবাজার বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রুমন আহমদ (২৪) মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে একই দুর্ঘটনায় রুমনের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) মারা যান।
দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে ঈদের দিনের আনন্দ বিষাদের ঘন ছায়ায় পরিণত হয়েছে রুমন ও সুমনের পরিবারের।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন ও রুমন পৌরশহরের ব্যবসায়ী ও মহুবন্দ এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে। সৌদি প্রবাসী সুমন কয়েক মাস আগেই দেশে ফিরে বিয়ে করেছিলেন।
এদিকে, দুই ভাইয়ের এমন করুণ মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারটিকে নয়, স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা বড়লেখা উপজেলার মানুষকেও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলযোগে সুমন ছোটভাই রুমনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে কুরবানির মাংস নিয়ে বড়লেখা থেকে দক্ষিণভাগের দিকে রওনা দেন। কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনের সড়কে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সাহেদ নিহত এবং রুমন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমন মারা যান।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম সরকার বলেন, ‘ঘাতক যানটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
