ছবি:নিজস্ব
শিশির ভেজা সকালে শস্য ভাণ্ডার খ্যাত আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। স্নিগ্ধ সকালের রোদ্দুরে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দেখা দিয়েছে রোপা আমনের পাতায় পাতায়।কৃষকের স্বন দুলছে রোপাআমন ধানে" কথাটির মানে হলো কৃষকের মন খুশিতে ভরে উঠেছে, কারণ রোপা আমন ধানের শীষ বাতাসে দুলছে এবং ভালো ফলনের আশা জাগাচ্ছে। এটি একটি সাধারণ কাব্যিক অভিব্যক্তি যা অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো ফলনের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে, যা কৃষকের মুখে হাসি ফোটায় এবং তাদের স্বপ্নকে রঙিন করে তোলে। প্রকৃতি যেন রোপা আমন মাঠে সবুজ রং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে এর রূপ আরও বৃদ্ধি করে দিয়েছে। গ্রাম বাংলার দৃশ্য সত্যিই কৃষককে আরও মনোমুগ্ধ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে এখন ফসল ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষেত থেকে আগাছা পরিষ্কার, পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার ও সার ছিটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।মঙ্গলবার (৪নভেম্বর) সকালে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন ও শিবপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। এতে রোপা-আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে এই ধান ঘরে উঠবে বলে কৃষকরা জানায়।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ও ১টি পেীরসভায় মোট ৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৪হাজার ৯৫০মেট্রিক টন রোপা আমন উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। যা গত বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি হবে আশা করা হচ্ছে । সেই সাথে কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান করার কথাও জানায় কৃষি বিভাগ।জলসুখা ইউনিয়নের কৃষক উজ্জ্বল গোপ বলেন, এক বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। অনাবৃষ্টিতে শুরুতে একটু সমস্যা হলেও এখন ধান গাছের অবস্থা ভালো। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম তাই ভালো ফলন আশা করছি। একই ইউনিয়নে ইয়াদ উল্লা বলেন, এবছর রোপা আমনের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। সেই সাথে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা ও ভালো ফলন পেতে সবসময় কৃষি অফিসের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত এমন থাকলে এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে তবে সার ঔষধ সহ সবকিছুর দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। শিবপাশা ইউনিয়নের মুকবুল মিয়া জানান, এছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা যা কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান বলেন,মৌসুমে এই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ও ১টি পেীরসভায় মোট ৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৪হাজার ৯৫০মেট্রিক টন রোপা আমন উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।
জৈন্তাবার্তা / সুলতানা




