
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালকের পর এবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত বাসের হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬)। অভিযুক্ত লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয় র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে গত রোববার (১৫ জুন) রাতে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন এক কলেজছাত্রী।
জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকেন। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের বাসে সিলেটে আসেন। পরে সিলেট থেকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে দাদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। শেরপুর এলাকায় গিয়ে বাসটি যাত্রীশূন্য হলে একা পেয়ে বাসচালক ও হেলপার মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কলেজছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। রাত ১২টার দিকে বাসচালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে নবীগঞ্জ থানায় কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে, সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত বাসচালককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা কলেজছাত্রী ঢাকা ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী। চলন্ত বাসে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়।
জৈন্তা বার্তা/আরআর
