গোয়াইনঘাটে নির্মিত হলো স্বপ্নের সেতু, প্রশংসিত চেয়ারম্যান
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:১৫

গোয়াইনঘাটে নির্মিত হলো স্বপ্নের সেতু, প্রশংসিত চেয়ারম্যান

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৪/০৫/২০২৫ ০১:৪৭:০৯

গোয়াইনঘাটে নির্মিত হলো স্বপ্নের সেতু, প্রশংসিত চেয়ারম্যান

ছবি নিজস্ব


সবুজ সোনালি ধানের মাঠ ভেদ করে সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা গ্রামীণ আঁকাবাঁকা মেঠোপথের দ্বারিখেল নামক স্থানে রাস্তার ধরন পরিবর্তন করে নির্মিত হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন পিআইও সেতু। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দ্বারিখেলে সেতুটি নির্মাণের ফলে পাল্টে গেছে ওই এলাকার দৃশ্যপট। লাঘব হয়েছে হাজারও মানুষের দুর্ভোগ। উপকারভোগী মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি, হৃদয়ের মাঝে ভাগ্য বদলের আনন্দের ঢেউ।

সেতুটি নির্মাণের ফলে প্রশংসায় ভাসছেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন। নির্মিত ব্রিজের সুফল পেতে শুরু করেছে আশপাশের পাঁচ ছয় গ্রামের হাজারো মানুষ। সেতুর কল্যাণে বদলে যাবে গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক চিত্র, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দ্বারিখেল, সাতবাক, লুনি কালিজুরি, প্রতাপপুর, হাজিপুর, দক্ষিণ প্রতাপপুরসহ উপকৃত হবেন ওই এলাকায় বসবাসকারী হাওরাঞ্চলের মানুষ। বর্ষাকালীন সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরও সহজ ও নিরাপদ। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষা ও চিকিৎসায় লাগবে আধুনিকতার ছোঁয়া। কৃষক, শ্রমজীবী, দিনমজুর ও স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লিদের যাতায়াতে সুব্যবস্থা হয়েছে এই একটিমাত্র সেতুতে।

এ সকল গ্রামের মানুষ যুগ যুগ ধরে ‘বর্ষায় নাও আর শুস্ক মৌসুমে পা’ নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থায় আটকে ছিলেন। সেই দুদর্শা লাঘবে দ্বারিখেল খালের ওপর সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমনের প্রচেষ্টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে (২০২৩-২০২৪) অর্থবছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৫১ টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করায় উম্মোচিত হয়েছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের দাবি পূরণ হওয়ায় তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন। নির্মিত সেতুর কাজ দেখতে গেলে খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, গোলাম রব্বানী সুমন একজন জনবান্ধব চেয়ারম্যান। তিনি দায়িত্বকালীন সময় থেকে অদ্যাবধি সদর ইউনিয়নের উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, অতীতে আমরা চেয়ারম্যানের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো। 

চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন বলেন, এই সেতু সদর ইউনিয়নের পরিকল্পিত উন্নয়নের বাস্তব নিদর্শন। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আমি -কাজ করে যাচ্ছি। আমি যখন নির্বাচনে প্রার্থী হই, তখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল এই দ্বারিখেল সেতু। নির্বাচিত হয়েই আমি পরিকল্পনা শুরু করি। রাস্তার পাশ দিয়ে খাল বয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পূর্বের জায়গায় সেতু নির্মাণ হলে বর্ষাকালে বানের পানিতে রাস্তা ও সেতু দুটিই খালে চলে যেত। তাই আমি রাস্তার ধরন পরিবর্তন করে পাশ দিয়ে নতুনভাবে রাস্তা করে তারপর সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি আরও ১০০০ ফুট ইট সলিং রাস্তা করে দেই, যাতে করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হয়। সড়কটি পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কার করা গেলে একই সড়ক দিয়ে মানুষ পর্যটন স্পট জাফলংয়ে যেতে পারবেন। এতে এলাকার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে এবং এলাকার মানুষ আলোকিত হবেন। আমি সেই চেষ্টাতেযই আছি।

তিনি বলেন, আমি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে উন্নয়নে বিশ্বাসী নই, পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাসী। ইউনিয়নের মানুষ যাতে দীর্ঘদিন এর সুফল ভোগ করতে পারেন সেজন্য চেষ্টা করেছি কাজটি যেন গুণগত মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। আজ তাদের দাবি পুরণ হয়েছে। আমি তাদের ভালোবাসায় চিরকৃতজ্ঞ, চিরঋণী। 

গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের প্রচেষ্টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘের একটি টেকসই দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় এলাকাবাসী খুশি, আমরাও খুশি।

জৈন্তা বার্তা/আরআর


শীর্ষ সংবাদ: