
(প্রতীকি ছবি)
তীব্র তাপদাহে লাখাই উপজেলায় দেখা দিয়েছে পানির সংকট। উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। উপজেলার অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। খাল-নালাসহ বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাদের মতে, দাবদাহ, বৃষ্টি না হওয়া, বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও অপরিকল্পিত সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে ক্রমেই নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। পানি তুলতে টিউবওয়েল চাপছেন নারীরা। জানা গেছে,
লাখাই উপজেলায় ২০২২ সনের জনসংখ্যা ১৪৮৮১১; পুরুষ ৭০৭১৪, মহিলা ৭৮০৯৭। ... সূত্র আদমশুমারি । এখন উপজেলার প্রায় ৭৫ শতাংশ গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে বিশাল এই জনগোষ্ঠী সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির চরম সংকটে দিনাতিপাত করছেন। এখন মোটর দিয়ে ও পানি তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির জন্য মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যেসব বাড়িতে ৯শ ফুট গভীর টিউবওয়েল রয়েছে সেখান থেকে পানি এনে দৈনন্দিন জরুরী চাহিদা মিটাচ্ছেন নারী-পুরধর্য। অনেকে আবার এলাকায় থাকা স্কুল-মসজিদের টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নই একেই অবস্থা দেখা যায়, লাখাই স্বজনগ্রাম লাখাই বাজারে গ্রামের কিছু লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করলে তাহারা জানান , পানির জন্য অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। লাখাই বাজারে ব্যবসায়ী অপু দাস বলেন লাখাই বাজারে কোন টিউবল নেই না থাকায় আমরা পানি কিনে পান করতে হয়। লাখাই বাজারের ব্যবসায়ীক আব্দুল কাইয়ুম বলেন বাজারের কোন টিউবল দিয়ে পানি উঠে না, আমরা ব্যবসায়িক সভায় বাড়ি থেকে পানি আনতে হয় খাবার পানি কিনে খেতে হয়। এখন মোটর দিয়েও পানি ওঠে না। টিউবওয়েল থেকে এক ফোঁটাও পানি বের হয় না। বাড়ীতে সাবমারসিবল পাম্প রয়েছে। সেখান থেকেই পানি নিয়ে চলছি। প্রতিদিন একজনের বাড়িতে গিয়ে পানি আনা কতটা কষ্টের, সেটা বোঝানো যাবে না। ভারী বৃষ্টি হলে মোটর থেকে পানি উঠতে পারে।
জৈন্তাবার্তা / রহমান
